মূলধন সংগ্রহে পুঁজিবাজার সবচেয়ে বড় মাধ্যম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৫৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহমুদা আক্তার বলেছেন, পুঁজিবাজারকে আরো বেশি সুসংগঠিত করতে আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে সবারই ইতিবাচাক ভূমিকা জরুরি।

বাংলাদেশের অর্থনীতির যে প্রান্তে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে বলা যায়, মূলধন সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজারের চেয়ে বড় বিকল্প কোন জায়গা নেই। তবে পুঁজিবাজার থেকে সঠিক পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করা ও এটিকে টেকসই করা সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, আমাদের-আপনাদের সবার এই মর্কেটের জন্য সঠিক ভুমিকা পালন করার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বিআইসিএম’র অবস্থানটা একটি ইউনিক অবস্থান। কারন সরকার এখানে বিনিয়োগকারীদেরকে প্রশিক্ষিত করতে অর্থায়ন করছে।’

রোববার এক বৈঠকে প্রফেসর ড. মাহমুদা আক্তার এসব কথা বলেন। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোমের (সিএমজেএফ) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সিএমজেএফ’র সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, বিআইসিএ পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুছ ছালেহীনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদ আক্তার বলেন, অনেকগুলো স্টেক হোল্ডার মাধ্যমে মার্কেট গঠিত। কিন্তু সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার হচ্ছে বিনিয়োগকারী। মার্কেটের বড় পক্ষ দুটি। একটি পক্ষের টাকা সংগহ করা দরকার, আরেকটি পক্ষের টাকা বিনিয়োগ করা দরকার। দুই পক্ষই বাজারের জন্য বিনিয়োগাকারী। এই বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত করার কাজটাই আমরা করে থাকি। এই শিক্ষাটা যারা পুঁজিবাজারের ‘অ’ ‘আ’ জানেনা তাদের যেমন দিই, তেমনটি যারা পিএইচডি করেছে তাদেরও দিয়ে থাকি। সবধরণের বিনিয়োগকারীকে শিক্ষিত করতে যা করার দরকার তা আমরা করছি। তবে সরকার আমাদের জন্য বড় ধরণের সুযোগ তৈরি করে দিলেও যতটুকু পাওয়া দরকার ততটুকু পাচ্ছিনা। এর বড় কারন সব ধরণের ও সবশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের আমরা যথযথভাবে কমিউনিকেট করতে পারছিনা।

বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে সিএমজেএফ’র সহযোগীতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা উভয় পক্ষই পুঁজিবাজারের জন্য কাজ করছি। তাই বিআইসিএম’র সবসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে কিভাবে এক সঙ্গে কাজ করা যায় সেই চিন্তা বিআইসিএম করছে বলে জানান তিনি।

এসময় জিয়াউর রহমান বলেন, একটা সময় বাজারে লেনদেন হতো মাত্র এক কোটি টাকা। তখন এখাতে সবপত্রিকার আলাদা কোন পতিবেদক ছিলনা। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে দেশের অর্থনীতির জন্য পুঁজিবাজার একটি বড় খাত। তাই এখাতের সঠিক তথ্য যেন সঠিক সময় স্টেক হোল্ডারদের কাছে পৌছতে পারে সে জন্যই সিএমজেএফ গঠন করা হয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতির নীতিনির্ধারকরা এখনও ব্যাংক খাতের মতো পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। এই গুরুত্বটা পেতে হলে বড় ধরণের জাগরণ দরকার। প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে এই জাগরণ তৈরি হবে। আর এজন্য বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সবার আরো বেশি দক্ষতা হতে হবে। এই লক্ষ্যেই কাজ করছে সিএসজেএফ।

সিএমজেএফ’র সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বিআইসিএম’র সার্বিক সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ দেন। সেই সঙ্গে তিনি বাজার এবং বিনিয়োগকারীদের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও বিআইসিএম’র সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ’র অর্থসম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য রোকন উদ্দীন মাহমুদ ও বাবুল বর্মনসহ আরো অনেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

মূলধন সংগ্রহে পুঁজিবাজার সবচেয়ে বড় মাধ্যম

Update Time : ০৭:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহমুদা আক্তার বলেছেন, পুঁজিবাজারকে আরো বেশি সুসংগঠিত করতে আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে সবারই ইতিবাচাক ভূমিকা জরুরি।

বাংলাদেশের অর্থনীতির যে প্রান্তে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, সেখান থেকে বলা যায়, মূলধন সংগ্রহের জন্য পুঁজিবাজারের চেয়ে বড় বিকল্প কোন জায়গা নেই। তবে পুঁজিবাজার থেকে সঠিক পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করা ও এটিকে টেকসই করা সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, আমাদের-আপনাদের সবার এই মর্কেটের জন্য সঠিক ভুমিকা পালন করার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে বিআইসিএম’র অবস্থানটা একটি ইউনিক অবস্থান। কারন সরকার এখানে বিনিয়োগকারীদেরকে প্রশিক্ষিত করতে অর্থায়ন করছে।’

রোববার এক বৈঠকে প্রফেসর ড. মাহমুদা আক্তার এসব কথা বলেন। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোমের (সিএমজেএফ) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সিএমজেএফ’র সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, বিআইসিএ পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুছ ছালেহীনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদ আক্তার বলেন, অনেকগুলো স্টেক হোল্ডার মাধ্যমে মার্কেট গঠিত। কিন্তু সবচেয়ে বড় স্টেক হোল্ডার হচ্ছে বিনিয়োগকারী। মার্কেটের বড় পক্ষ দুটি। একটি পক্ষের টাকা সংগহ করা দরকার, আরেকটি পক্ষের টাকা বিনিয়োগ করা দরকার। দুই পক্ষই বাজারের জন্য বিনিয়োগাকারী। এই বিনিয়োগকারীদের শিক্ষিত করার কাজটাই আমরা করে থাকি। এই শিক্ষাটা যারা পুঁজিবাজারের ‘অ’ ‘আ’ জানেনা তাদের যেমন দিই, তেমনটি যারা পিএইচডি করেছে তাদেরও দিয়ে থাকি। সবধরণের বিনিয়োগকারীকে শিক্ষিত করতে যা করার দরকার তা আমরা করছি। তবে সরকার আমাদের জন্য বড় ধরণের সুযোগ তৈরি করে দিলেও যতটুকু পাওয়া দরকার ততটুকু পাচ্ছিনা। এর বড় কারন সব ধরণের ও সবশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের আমরা যথযথভাবে কমিউনিকেট করতে পারছিনা।

বৈঠকে সার্বিক বিষয়ে সিএমজেএফ’র সহযোগীতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা উভয় পক্ষই পুঁজিবাজারের জন্য কাজ করছি। তাই বিআইসিএম’র সবসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে কিভাবে এক সঙ্গে কাজ করা যায় সেই চিন্তা বিআইসিএম করছে বলে জানান তিনি।

এসময় জিয়াউর রহমান বলেন, একটা সময় বাজারে লেনদেন হতো মাত্র এক কোটি টাকা। তখন এখাতে সবপত্রিকার আলাদা কোন পতিবেদক ছিলনা। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে দেশের অর্থনীতির জন্য পুঁজিবাজার একটি বড় খাত। তাই এখাতের সঠিক তথ্য যেন সঠিক সময় স্টেক হোল্ডারদের কাছে পৌছতে পারে সে জন্যই সিএমজেএফ গঠন করা হয়েছে। তবে দেশের অর্থনীতির নীতিনির্ধারকরা এখনও ব্যাংক খাতের মতো পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। এই গুরুত্বটা পেতে হলে বড় ধরণের জাগরণ দরকার। প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে এই জাগরণ তৈরি হবে। আর এজন্য বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সবার আরো বেশি দক্ষতা হতে হবে। এই লক্ষ্যেই কাজ করছে সিএসজেএফ।

সিএমজেএফ’র সাধারণ সম্পাদক আবু আলী বিআইসিএম’র সার্বিক সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ দেন। সেই সঙ্গে তিনি বাজার এবং বিনিয়োগকারীদের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও বিআইসিএম’র সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমজেএফ’র অর্থসম্পাদক নিয়াজ মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য রোকন উদ্দীন মাহমুদ ও বাবুল বর্মনসহ আরো অনেকে।