মিরসরাইয়ে চয়েস বাস চালক-হেলপারদের হামলায় বাঁশ ব্যবসায়ী-কর্মচারীসহ ৪ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৮৬ Time View

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মিরসরাইয়ে চয়েস বাস চালক ও হেলপারদের সংঘবদ্ধ হামলায় বাঁশ ব্যবসায়ী ও দোকানের কর্মচারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ২৭ মার্চ দুপুরে জোরারগঞ্জ থানাধীন বারইয়ারহাট পৌরসভার বাঁশ বাজারে শৈশব বাঁশ ঘরে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন- হিঙ্গুলী ইউনিনের বাসিন্দা শৈশব বাঁশ ঘরের স্বত্ত¡াধিকারী নিজাম উদ্দিন (৪৫), তার বড় ভাই মোমিনুল হক (৪৮), দোকানের কর্মচারী মো. শাহজাহান (৩৬) ও রেজাউল করিম (৪০)। এঘটনায় নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে সীতাকুন্ডের গফুর ড্রাইভার (৫০), মহসিন (৩৫), রাকিব (৩৫) ও রবিউল আউয়ালের (৪৫) নাম উল্লেখ পূর্বক এবং অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।সরেজমিনে গেলে হামলার শিকার বাঁশ ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার দুপুরে তাদের দোকানের সামনে সড়কের উপর কতিপয় চয়েস পরিবহনের বাস দাঁড়িয়ে ছিলো। এসময় বাঁশ পরিবহনের জন্য গাড়ী ঢুকতে না পারায় দোকানের সামনে থাকা চয়েস বাসটাকে সরিয়ে নিতে বলায় এর চালক ও হেলপার নিজামের উপর চড়াও হয়। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে ঐ বাসের চালক ও হেলপার এবং পাশে থাকা অন্যবাসের চালক হেলপাররা একত্রিত হয়ে হামলা করে নিজাম, তার ভাই ও কর্মচারীদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। দোকানঘর ভাংচুর করে এবং দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এসময় ক্ষুব্দ একাধিক বাঁশ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, চয়েস পরিবহনের বাসগুলো প্রতিনিয়ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। সড়কের উপর তারা গাড়ী রেখে পানি দিয়ে পরিস্কার করে। আমরা কোটি টাকা পূঁজি খাটিয়ে সরকারের রাজস্ব দিয়েও চয়েস বাসের দ্বারা ব্যবসায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রহস্থ হচ্ছি। এসময় ব্যবসায়ীরা আরো অভিযোগ করেন, চয়েস বাসের হেলপাররা অধিকাংশ বহিরাগত। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসায় এবং বাসে রাত্রি যাপন করায় নেশাগ্রস্থ হয়ে বহিরাগত মালবাহী ট্রাকে চুরি ছিনতাই করে গাড়ীতে এসে লুকিয়ে থাকে।এবিষয়ে চয়েস পরিবহনের শ্রমিক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. আবু নাসের পিন্টু বলেন, এটা একটা অনাকাংখিত ও দু:খ্য জনক ঘটনা। শ্রমিকদের এধরনের আচরণ করা ঠিক হয়নি। আমি এলাকায় নাই, মুটোফোনে বিষয়টি জেনেছি। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই নিবাস বলেন, বাস শ্রমিক ও বাঁশ ব্যবসায়ীদের মারামারির ঘটনায় ব্যবসায়ী আজাদ বাদী হয়ে একটা অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মিরসরাইয়ে চয়েস বাস চালক-হেলপারদের হামলায় বাঁশ ব্যবসায়ী-কর্মচারীসহ ৪ জন আহত

Update Time : ১১:০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মিরসরাইয়ে চয়েস বাস চালক ও হেলপারদের সংঘবদ্ধ হামলায় বাঁশ ব্যবসায়ী ও দোকানের কর্মচারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ২৭ মার্চ দুপুরে জোরারগঞ্জ থানাধীন বারইয়ারহাট পৌরসভার বাঁশ বাজারে শৈশব বাঁশ ঘরে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন- হিঙ্গুলী ইউনিনের বাসিন্দা শৈশব বাঁশ ঘরের স্বত্ত¡াধিকারী নিজাম উদ্দিন (৪৫), তার বড় ভাই মোমিনুল হক (৪৮), দোকানের কর্মচারী মো. শাহজাহান (৩৬) ও রেজাউল করিম (৪০)। এঘটনায় নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে সীতাকুন্ডের গফুর ড্রাইভার (৫০), মহসিন (৩৫), রাকিব (৩৫) ও রবিউল আউয়ালের (৪৫) নাম উল্লেখ পূর্বক এবং অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।সরেজমিনে গেলে হামলার শিকার বাঁশ ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার দুপুরে তাদের দোকানের সামনে সড়কের উপর কতিপয় চয়েস পরিবহনের বাস দাঁড়িয়ে ছিলো। এসময় বাঁশ পরিবহনের জন্য গাড়ী ঢুকতে না পারায় দোকানের সামনে থাকা চয়েস বাসটাকে সরিয়ে নিতে বলায় এর চালক ও হেলপার নিজামের উপর চড়াও হয়। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে ঐ বাসের চালক ও হেলপার এবং পাশে থাকা অন্যবাসের চালক হেলপাররা একত্রিত হয়ে হামলা করে নিজাম, তার ভাই ও কর্মচারীদের মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। দোকানঘর ভাংচুর করে এবং দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। এসময় ক্ষুব্দ একাধিক বাঁশ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, চয়েস পরিবহনের বাসগুলো প্রতিনিয়ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। সড়কের উপর তারা গাড়ী রেখে পানি দিয়ে পরিস্কার করে। আমরা কোটি টাকা পূঁজি খাটিয়ে সরকারের রাজস্ব দিয়েও চয়েস বাসের দ্বারা ব্যবসায় প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রহস্থ হচ্ছি। এসময় ব্যবসায়ীরা আরো অভিযোগ করেন, চয়েস বাসের হেলপাররা অধিকাংশ বহিরাগত। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে আসায় এবং বাসে রাত্রি যাপন করায় নেশাগ্রস্থ হয়ে বহিরাগত মালবাহী ট্রাকে চুরি ছিনতাই করে গাড়ীতে এসে লুকিয়ে থাকে।এবিষয়ে চয়েস পরিবহনের শ্রমিক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মো. আবু নাসের পিন্টু বলেন, এটা একটা অনাকাংখিত ও দু:খ্য জনক ঘটনা। শ্রমিকদের এধরনের আচরণ করা ঠিক হয়নি। আমি এলাকায় নাই, মুটোফোনে বিষয়টি জেনেছি। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এবিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই নিবাস বলেন, বাস শ্রমিক ও বাঁশ ব্যবসায়ীদের মারামারির ঘটনায় ব্যবসায়ী আজাদ বাদী হয়ে একটা অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।