মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বকেয়া টাকা চাওয়ায় রাজা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করেছেন এক যুবক। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ায় এক শিশুসহ তিনজনকে কুপিয়েছে ওই যুবক।রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মিরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম মঘাদিয়া এলাকার রাজা মিয়ার দোকানে এ ঘটনা ঘটে।রাজা মিয়া ওই এলাকার মরহুম আমিনুর রহমানে ছেলে। আহত অন্যরা হলেন, ওই এলাকার জামাল উল্লার ছেলে ফখরুল ইসলাম (৪২), একই এলাকার মরহুম মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ওবায়দুল্লাহ হাসিব (১৩) ও একটি বেকারির কর্মচারী মো: ইউসুফ (৩৫)।রাজা মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। অপর তিনজন মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎনাধীন রয়েছেন।ঘটনাস্থল থেকে সাইদুল ইসলাম রাশেল (২৮) নামে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় একটি চুরি উদ্ধার করা হয়। রাশেল একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে।রাজা মিয়ার ভাতিজা সাবেদুর রহমান জানান, ‘গ্রামে আমার জেঠার (বাবার বড় ভাই) একটি মুদি দোকান রয়েছে। দোকান থেকে বাজার বাবদ রাশেলের কাছে রাজা মিয়া প্রায় ১০ হাজার বকেয়া পেয়ে থাকেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে তার কাছে বকেয়া টাকাগুলো চাওয়া হয়। এ কারণে রোববার সকালে দোকানে ঢুকে ক্যাশে বসা অবস্থায় আমার জেঠাকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে রাশেল। ওই সময় দৌড়ে দোকানে বাইরে গেলে রাস্তার ওপর ফেলে ছুরি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। তাকে বাঁচাতে আসায় আরো তিনজনকে কুপিয়েছে রাশেল।তিনি আরো বলেন, পুরো দোকান রক্তে লাল হয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাঁচার সম্ভাবনা কম।মিরসরাই পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল ফাইয়াত সংগ্রাম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। বকেয়া টাকা চাওয়ায় এভাবে জবাই করে দেয়া, ভাবতে অবাক লাগছে।
পুলিশের হাতে আটক সাইদুল ইসলাম রাশেলের মা পারভীন আক্তার বলেন, আমার ছেলে গত কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। গতকাল রাতে তার বোনকেও কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কবির হোসেন বলেন, মিরসরাই পৌরসভার মধ্যম মঘাদিয়া এলাকায় বকেয়া টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করায় সাইদুল ইসলাম রাশেল নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি চুরি জব্দ করা হয়।এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।