মরিচ ব্যবসায়ীদের অনিয়ম খুঁজতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১১৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত থেকে আমদানির পরও কমেনি কাঁচামরিচের দাম। রাজধানীর পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ এখনো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায়। এদিকে বুধবার মধ্যরাতে তদারকিতে নেমে মরিচ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যরাতের এই বাহাস পাইকারি কাঁচামরিচ ব্যবসায়ীর সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।

কাঁচামরিচের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে কারওয়ান বাজারের আড়তে গিয়ে দেখা গেলো বেশি দামে যে মরিচ বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগেরই কেনাবেচার রশিদ নেই।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, যেহেতু পণ্য সরাসরি কৃষক থেকে কেনা হয়- তাই তারা ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেন না।

তবে দোষ খুঁজে পেলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে জানিয়ে আজ কাউকেই জরিমানা করেনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, একই মরিচ আমরা দেখলাম মামা বলছেন ৩০০ টাকা, তার ভাগ্নে বলছে ৩২০ টাকা। আবার এক ব্যাপারী এই একই মরিচ বললেন ৩৫০ টাকা। অর্থ্যাৎ মৌখিকভাবে তারা দাম নির্ধারণ করেন। এখানে একটা কারসাজির তথ্য আমরা পেয়েছি।

কাঁচামরিচের দাম যখন হাজার ছাড়ালো তখন কেনও ভোক্তা অধিকার সরব হয়নি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান নির্দেশনা পাবার পর পুরো বাংলাদেশের বাজারে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে কাঁচামরিচের বাজার।

আবদুল জব্বার মণ্ডল আরও জানান, আমরা একযোগে এবার ৬৪ জেলায় অভিযান পরিচালনা করছি।

কাঁচামরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবসায়ীদের সাথে আগামী ৯ জুলাই সংস্থাটির ঊর্ধ্বতনদের সাথে বৈঠকে বসার জন্য ব্যবসায়ীদের নিমন্ত্রণও জানান এই কর্মকর্তা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মরিচ ব্যবসায়ীদের অনিয়ম খুঁজতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

Update Time : ০১:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত থেকে আমদানির পরও কমেনি কাঁচামরিচের দাম। রাজধানীর পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ এখনো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায়। এদিকে বুধবার মধ্যরাতে তদারকিতে নেমে মরিচ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

নিত্যপণ্যের বাজারে মধ্যরাতের এই বাহাস পাইকারি কাঁচামরিচ ব্যবসায়ীর সাথে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।

কাঁচামরিচের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে কারওয়ান বাজারের আড়তে গিয়ে দেখা গেলো বেশি দামে যে মরিচ বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগেরই কেনাবেচার রশিদ নেই।

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, যেহেতু পণ্য সরাসরি কৃষক থেকে কেনা হয়- তাই তারা ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেন না।

তবে দোষ খুঁজে পেলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে জানিয়ে আজ কাউকেই জরিমানা করেনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, একই মরিচ আমরা দেখলাম মামা বলছেন ৩০০ টাকা, তার ভাগ্নে বলছে ৩২০ টাকা। আবার এক ব্যাপারী এই একই মরিচ বললেন ৩৫০ টাকা। অর্থ্যাৎ মৌখিকভাবে তারা দাম নির্ধারণ করেন। এখানে একটা কারসাজির তথ্য আমরা পেয়েছি।

কাঁচামরিচের দাম যখন হাজার ছাড়ালো তখন কেনও ভোক্তা অধিকার সরব হয়নি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান নির্দেশনা পাবার পর পুরো বাংলাদেশের বাজারে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে কাঁচামরিচের বাজার।

আবদুল জব্বার মণ্ডল আরও জানান, আমরা একযোগে এবার ৬৪ জেলায় অভিযান পরিচালনা করছি।

কাঁচামরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবসায়ীদের সাথে আগামী ৯ জুলাই সংস্থাটির ঊর্ধ্বতনদের সাথে বৈঠকে বসার জন্য ব্যবসায়ীদের নিমন্ত্রণও জানান এই কর্মকর্তা।