মতলবে দূর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাঁই আ’লীগের অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৫৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৭ Time View

আল-আমিন ভূঁইয়া:

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো আওয়মীলীগের অফিস। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৪ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে যানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর -মতলব সড়কের উত্তর লুধুয়া (আমতলা) স্থানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় গত ৩১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দূর্বৃত্তরা আগুন দেয়। মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা পুড়ো অফিসে ছড়িয়ে পরে। পাশের এক চা দোকানদার খোকন প্রধান আগুন দেখে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়মীলীগ অফিসের দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন মোল্লা বলেন, এই অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমসহ অন্যান্য নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টর, টানানো ছিল। এই অফিসে বিদুৎের লাইন ছিল না। যারা আগুন দিয়েছে তারা পরিকল্পিত ভাবেই এ কাজ করেছে।
পাশের আরেক দোকানদার সেবা ফার্মেসির আবুল কালাম সরকার জানান, তিনি খবর পেয়ে এসে দেখে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, এর পাশে সায়মন এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বোরহানউদ্দিন বেপারী জানান দোকানদার খোকন প্রধান আগুন লাগার ব্যাপারে জানালে আমি এসে ট্রিপল নাইন নাম্বারে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বোরহানউদ্দিন মৌলুভী বলেন আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এলাকা বাসির সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কে বা কাহারা এ ঘটনা করেছে জানা নাই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হক টিটু, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি বাদশা পাটোয়ারীসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, অফিসের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সকল কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবী করেন। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো সেবা ফার্মেসী, সায়মন এন্টারপ্রাইজ ও আশেপাশে থাকা অনেক দোকান। সেবা ফার্মেসী ও সায়মন এন্টারপ্রাইজ এর দোকানের মাঝামাঝি দেয়াল থাকায় রক্ষা পেলো সায়মন এন্টারপ্রাইজ দোকানে সার, কিটনাশক ঔষধ সহ অসংখ্য মালামাল ছিল, বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আগুনের তাপে সামান্য ক্ষতির পরিমাণ লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়া হোসেন বলেন, বিষয়টি যেনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেন, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়, তবে কিভাবে আগুন লেগেছে জানা যায়নি। এ দিকে উপজেলা কৃষক লীগের ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা বলেন, আগুন কে বা কাহারা লাগিয়েছে কাউকে দেখি নাই, তবে তিনি সন্দেহ জনক ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। থানায় অভিযোগ না থাকার কারনে নাম দেওয়া সম্ভব হয় নাই। তিনি দুঃখের সহিত বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী দ্বারা অনেক মার খেয়েছি কিন্তু কোন বিচার পাই নাই। ওদের বিচার যেন আল্লাহ তায়ালা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মতলবে দূর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে ছাঁই আ’লীগের অফিস

Update Time : ০৫:৫৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আল-আমিন ভূঁইয়া:

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো আওয়মীলীগের অফিস। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৪ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে যানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর -মতলব সড়কের উত্তর লুধুয়া (আমতলা) স্থানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় গত ৩১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দূর্বৃত্তরা আগুন দেয়। মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা পুড়ো অফিসে ছড়িয়ে পরে। পাশের এক চা দোকানদার খোকন প্রধান আগুন দেখে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়মীলীগ অফিসের দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন মোল্লা বলেন, এই অফিসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমসহ অন্যান্য নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টর, টানানো ছিল। এই অফিসে বিদুৎের লাইন ছিল না। যারা আগুন দিয়েছে তারা পরিকল্পিত ভাবেই এ কাজ করেছে।
পাশের আরেক দোকানদার সেবা ফার্মেসির আবুল কালাম সরকার জানান, তিনি খবর পেয়ে এসে দেখে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, এর পাশে সায়মন এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বোরহানউদ্দিন বেপারী জানান দোকানদার খোকন প্রধান আগুন লাগার ব্যাপারে জানালে আমি এসে ট্রিপল নাইন নাম্বারে ফোন দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ বোরহানউদ্দিন মৌলুভী বলেন আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি এলাকা বাসির সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কে বা কাহারা এ ঘটনা করেছে জানা নাই।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হক টিটু, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি বাদশা পাটোয়ারীসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, অফিসের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সকল কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবী করেন। তারা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো সেবা ফার্মেসী, সায়মন এন্টারপ্রাইজ ও আশেপাশে থাকা অনেক দোকান। সেবা ফার্মেসী ও সায়মন এন্টারপ্রাইজ এর দোকানের মাঝামাঝি দেয়াল থাকায় রক্ষা পেলো সায়মন এন্টারপ্রাইজ দোকানে সার, কিটনাশক ঔষধ সহ অসংখ্য মালামাল ছিল, বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আগুনের তাপে সামান্য ক্ষতির পরিমাণ লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়া হোসেন বলেন, বিষয়টি যেনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেন, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়, তবে কিভাবে আগুন লেগেছে জানা যায়নি। এ দিকে উপজেলা কৃষক লীগের ভার প্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা বলেন, আগুন কে বা কাহারা লাগিয়েছে কাউকে দেখি নাই, তবে তিনি সন্দেহ জনক ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। থানায় অভিযোগ না থাকার কারনে নাম দেওয়া সম্ভব হয় নাই। তিনি দুঃখের সহিত বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী দ্বারা অনেক মার খেয়েছি কিন্তু কোন বিচার পাই নাই। ওদের বিচার যেন আল্লাহ তায়ালা করেন।