ভোটে অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে: ইসি আহসান হাবিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:২৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৭০ Time View

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, পথভ্রষ্ট অতি উৎসাহী এবং সন্ত্রাসীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কোন প্রকার অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে। কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে চলে যান, লাগলে পরে ভোট নেওয়া হবে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোরের মণিরামপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান এসব কথা বলেন। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের দেশের ওপর বিদেশিদের নজর আছে। বাইরের কেউ আমাদের সমস্যা ঠিক করে দিতে পারবে না। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশ, সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্তিত্বের প্রশ্ন। এই নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনেক আশা। নির্বাচন কমিশন চায় উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হোক। এ জন্য আমাদের পাশাপাশি আপনারা যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে হবে। আপনাদের সততা, ইচ্ছেশক্তি ও ডেডিকেশন থাকলে সেটা সম্ভব হবে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আহসান হাবিব বলেন, ‘কেন্দ্রের মধ্যে কেউ নিজেদের প্রতীকের পক্ষে নিতে ভোটারদের বা আপনাদের জোর করলে পুলিশকে জানাবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ভোট বন্ধ রাখবেন। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে চলে যাবেন। আমরা আবার ভোট নেব। কেন্দ্রে যেন একটি জাল ভোটও না পড়ে।’

সম্প্রতি গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে ইসি আহসান হাবিব বলেন, ‘সেখানে যারা অনিয়মে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা এখন চাকরি হারাচ্ছেন। তাঁরা হয়তো ভাবতেও পারেনি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মে সহায়তা করলে কি হবে। যদি আপনারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে আমরা কঠোর হব।’

নির্বাচনী পরিবেশ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘সব জায়গায় নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। যারা অভিযোগ তুলছেন; যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন দুটোই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যে অপরাধী হবেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নির্বাচনে সবার বাকস্বাধীনতা থাকবে। সবার ভোটের স্বাধীনতা থাকবে।’

বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে ইসি বলেন, ‘আমরা তাদের চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছি। তাঁরা আসেননি। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ভোটে অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে: ইসি আহসান হাবিব

Update Time : ০৬:২৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, পথভ্রষ্ট অতি উৎসাহী এবং সন্ত্রাসীদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কোন প্রকার অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে। কেন্দ্র দখলের চেষ্টা হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে চলে যান, লাগলে পরে ভোট নেওয়া হবে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোরের মণিরামপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান এসব কথা বলেন। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার ও খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।

আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের দেশের ওপর বিদেশিদের নজর আছে। বাইরের কেউ আমাদের সমস্যা ঠিক করে দিতে পারবে না। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশ, সরকার, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্তিত্বের প্রশ্ন। এই নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনেক আশা। নির্বাচন কমিশন চায় উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট হোক। এ জন্য আমাদের পাশাপাশি আপনারা যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে হবে। আপনাদের সততা, ইচ্ছেশক্তি ও ডেডিকেশন থাকলে সেটা সম্ভব হবে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আহসান হাবিব বলেন, ‘কেন্দ্রের মধ্যে কেউ নিজেদের প্রতীকের পক্ষে নিতে ভোটারদের বা আপনাদের জোর করলে পুলিশকে জানাবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ভোট বন্ধ রাখবেন। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়ে চলে যাবেন। আমরা আবার ভোট নেব। কেন্দ্রে যেন একটি জাল ভোটও না পড়ে।’

সম্প্রতি গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাচনে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে ইসি আহসান হাবিব বলেন, ‘সেখানে যারা অনিয়মে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা এখন চাকরি হারাচ্ছেন। তাঁরা হয়তো ভাবতেও পারেনি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মে সহায়তা করলে কি হবে। যদি আপনারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে আমরা কঠোর হব।’

নির্বাচনী পরিবেশ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘সব জায়গায় নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। যারা অভিযোগ তুলছেন; যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন দুটোই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যে অপরাধী হবেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নির্বাচনে সবার বাকস্বাধীনতা থাকবে। সবার ভোটের স্বাধীনতা থাকবে।’

বিএনপির প্রসঙ্গ টেনে ইসি বলেন, ‘আমরা তাদের চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছি। তাঁরা আসেননি। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।’