ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন কর্মজীবী তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
  • / ১৩৩ Time View

‘ভিক্ষা ছেড়ে কাইজ শুরু করছিলাম। মাস শ্যাষে বেতনও পাইলাম। এহন এই বেতন দিয়া পরিবারের সবাইরে নিয়ে একটু ভাল মন্দ খাইব।’

এভাবেই কথাগুলো বললেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চৌরখুলী গ্রামের একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করা সোনামতি বেগম। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে কর্মময় জীবনের প্রথম মাসের বেতন পেয়েছেন তিনি।

শুধু তিনি নন, ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেলেন তার মতো আরও ৪২ জন শ্রমিক।

মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা উপস্থিত থেকে চৌরখুলী গ্রামে নির্মিত প্যাকেজিং ফ্যাক্টারি ‘অবলম্বন’-এ চাকরি পাওয়া ৪৩ জন ভিক্ষুকের হাতে তাদের কর্মজীবনের প্রথম মাসের বেতন ৩ হাজার টাকা করে তুলে দেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান শুভসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘ভিক্ষা নয় এখন থেকে কর্মময় হলো ৪৩ জন ভিক্ষুকের জীবন। এরা এখন কাজ করে তাদের সংসার চালাতে পারবেন। এটি আমাদের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ হবে। এ ক্ষুদ্র উদ্যোগটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।

Please Share This Post in Your Social Media

ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন কর্মজীবী তারা

Update Time : ১২:২২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১

‘ভিক্ষা ছেড়ে কাইজ শুরু করছিলাম। মাস শ্যাষে বেতনও পাইলাম। এহন এই বেতন দিয়া পরিবারের সবাইরে নিয়ে একটু ভাল মন্দ খাইব।’

এভাবেই কথাগুলো বললেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার চৌরখুলী গ্রামের একটি প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করা সোনামতি বেগম। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে কর্মময় জীবনের প্রথম মাসের বেতন পেয়েছেন তিনি।

শুধু তিনি নন, ভিক্ষাবৃত্তি থেকে মুক্তি পেলেন তার মতো আরও ৪২ জন শ্রমিক।

মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা উপস্থিত থেকে চৌরখুলী গ্রামে নির্মিত প্যাকেজিং ফ্যাক্টারি ‘অবলম্বন’-এ চাকরি পাওয়া ৪৩ জন ভিক্ষুকের হাতে তাদের কর্মজীবনের প্রথম মাসের বেতন ৩ হাজার টাকা করে তুলে দেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান শুভসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘ভিক্ষা নয় এখন থেকে কর্মময় হলো ৪৩ জন ভিক্ষুকের জীবন। এরা এখন কাজ করে তাদের সংসার চালাতে পারবেন। এটি আমাদের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ হবে। এ ক্ষুদ্র উদ্যোগটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস।