ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫২ মন্দিরে মহাষ্টমী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৩২ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫৫২টি পূজামণ্ডপে মহাষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় প্রতিটি পূজামণ্ডপে ভক্তদের ঢল নামে। পরে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
 .
এর আগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপুজো হয়ে থাকে। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট সময়ের মধ্যে সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷
.
শহরের রামঠাকুর ক্লাবের দুর্গাপূজা মণ্ডপের পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপূজায় এই সময়টার একটা বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পুরাণ অনুসারে অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধের সময়ে দেবী অম্বিকার কপালে থাকা তৃতীয় নেত্র থেকে দেবী কালিকা প্রকট হয়েছিলেন ঠিক এই সময়কালেই। আবার অন্যত্র এমনটাও বলা হয়ে থাকে, পরাক্রমী অসুর রক্তবীজের সব রক্ত এই সন্ধি মুহূর্তেই দেবী চামুণ্ডা কালিকা খেয়ে ফেলেছিলেন। তাই এই সন্ধিক্ষণ চলাকালীন সময়ে মা দুর্গার অন্তর থেকে সব স্নেহ, মমতা অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই কারণেই সন্ধিপূজার সময়ে দেবীর দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখা হয়, চামুণ্ডা দুর্গার চোখের সামনে দাঁড়াতে নেই।

তবে বিগত বছর শহরের একাধিক মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হলেও বৈশ্বিক করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর জেলার কোথাও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়নি। মহাষ্টমীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। পবিত্র মন্ত্রের মাধ্যমে অঞ্জলিতে করোনা থেকে মুক্তির জন্য দেশ জাতির কল্যাণ বিশেষ প্রার্থনা করেন ভক্তরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৫২ মন্দিরে মহাষ্টমী

Update Time : ০৮:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫৫২টি পূজামণ্ডপে মহাষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সময় প্রতিটি পূজামণ্ডপে ভক্তদের ঢল নামে। পরে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হয়।
 .
এর আগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে এই সন্ধিপুজো হয়ে থাকে। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট সময়ের মধ্যে সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷
.
শহরের রামঠাকুর ক্লাবের দুর্গাপূজা মণ্ডপের পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, দুর্গাপূজায় এই সময়টার একটা বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পুরাণ অনুসারে অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধের সময়ে দেবী অম্বিকার কপালে থাকা তৃতীয় নেত্র থেকে দেবী কালিকা প্রকট হয়েছিলেন ঠিক এই সময়কালেই। আবার অন্যত্র এমনটাও বলা হয়ে থাকে, পরাক্রমী অসুর রক্তবীজের সব রক্ত এই সন্ধি মুহূর্তেই দেবী চামুণ্ডা কালিকা খেয়ে ফেলেছিলেন। তাই এই সন্ধিক্ষণ চলাকালীন সময়ে মা দুর্গার অন্তর থেকে সব স্নেহ, মমতা অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই কারণেই সন্ধিপূজার সময়ে দেবীর দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখা হয়, চামুণ্ডা দুর্গার চোখের সামনে দাঁড়াতে নেই।

তবে বিগত বছর শহরের একাধিক মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হলেও বৈশ্বিক করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর জেলার কোথাও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়নি। মহাষ্টমীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। পবিত্র মন্ত্রের মাধ্যমে অঞ্জলিতে করোনা থেকে মুক্তির জন্য দেশ জাতির কল্যাণ বিশেষ প্রার্থনা করেন ভক্তরা।