বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ১২ বাংলাদেশী নারীকে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৩৪ Time View

সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):

অবৈধ ভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হওয়া ১২ বাংলাদেশী নারী কে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করলো ভারত।

বৃহস্পতিবার(৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে দুই দেশের ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ঐ সকল নারীদেরকে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা নারীরা হলো- নরশিংদীর মিতু বেগম, সাতক্ষীরার সুইটি, যশোরের শরিফা, সুমি,মাহফুজা,বরিশালের শায়লা,খুলনার আসমা, পাবনার মুক্তি,ঝিনাহদাহের নাজমা,মানিকগঞ্জের চায়না,খুলনার নারগিস ও কুমিল্লার সেলিনা।

ফেরত আসা নারীরা জানায়, পারিবারিক ভাবে তারা দরিদ্র পরিবারের সদস্য। ভাল কাজ দেয়ার কথা বলে দু বছর আগে দালালের খপ্পরে পড়ে তারা ভারতে যায়। পরে তাদেরকে বাধ্য করে ঝুকিপূর্ণ কাজে। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সেদেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা। এরপর তাদের প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হই।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে ১১ নারীকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও এক জনকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি নামে এনজিও গ্রহণ করেছে।

জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওলী সুলতানা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দু বছর আগে সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। পাচারকারী ভালো কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জোর করে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফেরত আনা হয়। ফেরত আসা নারীরা যদি পাচারকারীদের সনাক্ত করে মামলা করতে চাই,তাহলে জাষ্টিস কর্মকর্তারা তাদেরকে আইনি সহায়তা দিবে বলে জানিয়ে দেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ১২ বাংলাদেশী নারীকে হস্তান্তর

Update Time : ১২:৩৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১

সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):

অবৈধ ভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হওয়া ১২ বাংলাদেশী নারী কে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করলো ভারত।

বৃহস্পতিবার(৩০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টার দিকে দুই দেশের ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ঐ সকল নারীদেরকে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা নারীরা হলো- নরশিংদীর মিতু বেগম, সাতক্ষীরার সুইটি, যশোরের শরিফা, সুমি,মাহফুজা,বরিশালের শায়লা,খুলনার আসমা, পাবনার মুক্তি,ঝিনাহদাহের নাজমা,মানিকগঞ্জের চায়না,খুলনার নারগিস ও কুমিল্লার সেলিনা।

ফেরত আসা নারীরা জানায়, পারিবারিক ভাবে তারা দরিদ্র পরিবারের সদস্য। ভাল কাজ দেয়ার কথা বলে দু বছর আগে দালালের খপ্পরে পড়ে তারা ভারতে যায়। পরে তাদেরকে বাধ্য করে ঝুকিপূর্ণ কাজে। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সেদেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা। এরপর তাদের প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হই।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আইনি সহায়তা দিতে ১১ নারীকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও এক জনকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি নামে এনজিও গ্রহণ করেছে।

জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওলী সুলতানা জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দু বছর আগে সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। পাচারকারী ভালো কাজ না দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জোর করে ব্যবহার করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটে দেশে ফেরত আনা হয়। ফেরত আসা নারীরা যদি পাচারকারীদের সনাক্ত করে মামলা করতে চাই,তাহলে জাষ্টিস কর্মকর্তারা তাদেরকে আইনি সহায়তা দিবে বলে জানিয়ে দেন।