বিএনপি-জামায়াতের ভোট বর্জনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিলো যুবদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / 34

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করলেও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলো বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা।
(২১ মে) অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ২য় ধাপের নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দেখা যায় এমনই চিত্র।
যারমধ্যেই চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সাবেক এমপি জাফর আলমের ঘোড়া মার্কার সমর্থনে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ ভোটারদের হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রমজান আলীর বিরুদ্ধে।
তিনি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও ডুলহাজারা ইউনিয়নের ৪ নং ইউপি সদস্য বলে জানা যায়।

হাতে পাওয়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, যুবদলের এই নেতা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজের ইচ্ছে মতে কেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভিডিওতে আরো দেখা যায়, ভোটের কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে ঢুকে যখন ইচ্ছে তখন প্রভাবিত করার সৃষ্টি চালিয়ে যেতে। ভোটাদের ও ভোট কোথায় দিবে সেটাও নির্দেশনা দিচ্ছেন ঐ বিএনপির নেতা।

স্থানীয় সাধারণ ভোটার’রা জানান, ৪ নং ওয়ার্ড যুব দলের সভাপতি রমজান আলী সকাল থেকে বিকাল পযর্ন্ত উলুবনিয়া কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের এমপি জাফরের জন্য ভোট নিতে ব্যস্ত সময় পার করেন। সাবেক এমপি জাফর আলমের পক্ষে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা ভোটের দিন হাতেনাতে টাকা বিতরণ করতে দেখা যায় এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ভোটারদের।

কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত কলমের সমর্থক সুজন জানান, “প্রিজাইডিং অফিসারকে যুবদল নেতা রমজান আলী কেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি সহ নানা অনিয়মের বিষয়ে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এমনকি বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা জাফর আলমের পক্ষে ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করছে।”

আওয়ামীলীগের নেতা সুজন আরও বলেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও ভোটের মাঠে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে রমজান। এছাড়া অভিযোগ আছে ঘোড়া প্রতীকের এমপি জাফর ভোটের আগের দিন রাতে ২০ মে ৬ লাখ টাকা লেনদেন করে যা দিয়ে মেম্বার রমজান আলী ভোটের দিন পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে টাকা বিতরণ করেন।

এনিয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা রমজান আলীর সাথে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান আমরা ভোট কেন্দ্রে ছিলাম ঠিকই কিন্তু কোনো ধরণের ত্রাস সৃষ্টি করি নাই।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, দলের সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীরা মেনে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছে। সাধারণ জনগণও ভোট বর্জন করেছে। দলের কেউ ভোট প্রয়োগ করেছে বা কেউ কোনো প্রার্থীর জন্য কাজ করেছেন এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই, এই বিষয়ে যদি কোনো অভিযোগ পাই, তবে সেই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি-জামায়াতের ভোট বর্জনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিলো যুবদল নেতা

Update Time : ১২:২০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করলেও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে ভোটের মাঠে সক্রিয় ছিলো বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা।
(২১ মে) অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ২য় ধাপের নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলায় বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দেখা যায় এমনই চিত্র।
যারমধ্যেই চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সাবেক এমপি জাফর আলমের ঘোড়া মার্কার সমর্থনে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ ভোটারদের হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রমজান আলীর বিরুদ্ধে।
তিনি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও ডুলহাজারা ইউনিয়নের ৪ নং ইউপি সদস্য বলে জানা যায়।

হাতে পাওয়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, যুবদলের এই নেতা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজের ইচ্ছে মতে কেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভিডিওতে আরো দেখা যায়, ভোটের কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে ঢুকে যখন ইচ্ছে তখন প্রভাবিত করার সৃষ্টি চালিয়ে যেতে। ভোটাদের ও ভোট কোথায় দিবে সেটাও নির্দেশনা দিচ্ছেন ঐ বিএনপির নেতা।

স্থানীয় সাধারণ ভোটার’রা জানান, ৪ নং ওয়ার্ড যুব দলের সভাপতি রমজান আলী সকাল থেকে বিকাল পযর্ন্ত উলুবনিয়া কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের এমপি জাফরের জন্য ভোট নিতে ব্যস্ত সময় পার করেন। সাবেক এমপি জাফর আলমের পক্ষে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা ভোটের দিন হাতেনাতে টাকা বিতরণ করতে দেখা যায় এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ভোটারদের।

কেন্দ্রে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত কলমের সমর্থক সুজন জানান, “প্রিজাইডিং অফিসারকে যুবদল নেতা রমজান আলী কেন্দ্রের বাইরে ও ভিতরে প্রবেশ করে ত্রাস সৃষ্টি সহ নানা অনিয়মের বিষয়ে জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। এমনকি বিএনপি জামায়াতের কর্মীরা জাফর আলমের পক্ষে ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করছে।”

আওয়ামীলীগের নেতা সুজন আরও বলেন, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও ভোটের মাঠে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে রমজান। এছাড়া অভিযোগ আছে ঘোড়া প্রতীকের এমপি জাফর ভোটের আগের দিন রাতে ২০ মে ৬ লাখ টাকা লেনদেন করে যা দিয়ে মেম্বার রমজান আলী ভোটের দিন পাড়ায়-পাড়ায় গিয়ে টাকা বিতরণ করেন।

এনিয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা রমজান আলীর সাথে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান আমরা ভোট কেন্দ্রে ছিলাম ঠিকই কিন্তু কোনো ধরণের ত্রাস সৃষ্টি করি নাই।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, দলের সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীরা মেনে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্জন করেছে। সাধারণ জনগণও ভোট বর্জন করেছে। দলের কেউ ভোট প্রয়োগ করেছে বা কেউ কোনো প্রার্থীর জন্য কাজ করেছেন এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে নাই, এই বিষয়ে যদি কোনো অভিযোগ পাই, তবে সেই বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।