বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয় : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৩ Time View

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শাজাহান ওমরের মতো অনেকেই ভেতরে ভেতরে বলছেন জীবনেও আর বিএনপি করব না। প্রার্থী স্বতন্ত্র হোক বা দল মনোনীত হোক- এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায় ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে। বিএনপির ভুল নীতির জন্য দলটির নেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীরা হতাশ। তারা আওয়ামী লীগের প্রতি নয়, তাদের নেতাদের প্রতিই হতাশ।

কারণ বিএনপি নিজেরাই ভুল নীতি নিয়েছে। এ জন্য আজ নিজেরাই বিভক্ত হয়ে গেছে।

কোনো দলকে ভেঙে দেওয়া আওয়ামী লীগের নীতি নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চলমান একদফা দাবি গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে।এখন যত চেষ্টাই করুক লাভ নেই। বিএনপি আর আন্দোলন করতে পারবে না।

দেশের জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু দল নির্বাচন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। আন্দোলনের নামে কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছে এখনও চাচ্ছে। কিন্তু বিজয়ের মাসে নবশক্তিতে বলিয়ান জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে।

নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। কমিশনের ব্যবস্থা আমাদের বিরুদ্ধে গেলেও তাকে আওয়ামী লীগ সাধুবাদ জানাবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সারা দেশে যে কোনো ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার এখতিয়ার এখন নির্বাচন কমিশনের। কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তাতে আস্থা আছে আওয়ামী লীগের।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগ তা মেনে নিবে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও নির্মল চ্যাটাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয় : ওবায়দুল কাদের

Update Time : ০৩:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা অপরাধ নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শাজাহান ওমরের মতো অনেকেই ভেতরে ভেতরে বলছেন জীবনেও আর বিএনপি করব না। প্রার্থী স্বতন্ত্র হোক বা দল মনোনীত হোক- এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ এবং আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায় ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে। বিএনপির ভুল নীতির জন্য দলটির নেতাদের দায়ী করে তিনি বলেন, বিএনপির কর্মীরা হতাশ। তারা আওয়ামী লীগের প্রতি নয়, তাদের নেতাদের প্রতিই হতাশ।

কারণ বিএনপি নিজেরাই ভুল নীতি নিয়েছে। এ জন্য আজ নিজেরাই বিভক্ত হয়ে গেছে।

কোনো দলকে ভেঙে দেওয়া আওয়ামী লীগের নীতি নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির চলমান একদফা দাবি গভীর গর্তে পড়ে গেছে। তাদের আন্দোলন ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে।এখন যত চেষ্টাই করুক লাভ নেই। বিএনপি আর আন্দোলন করতে পারবে না।

দেশের জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু দল নির্বাচন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকলেও জনগণ নির্বাচনমুখী। আন্দোলনের নামে কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছে এখনও চাচ্ছে। কিন্তু বিজয়ের মাসে নবশক্তিতে বলিয়ান জনগণ ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে।

নির্বাচন কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এখন রুটিন ওয়ার্ক করবে। কমিশনের ব্যবস্থা আমাদের বিরুদ্ধে গেলেও তাকে আওয়ামী লীগ সাধুবাদ জানাবে। নির্বাচন সংক্রান্ত সারা দেশে যে কোনো ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত তথ্য নেওয়ার এখতিয়ার এখন নির্বাচন কমিশনের। কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তাতে আস্থা আছে আওয়ামী লীগের।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগ তা মেনে নিবে।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও নির্মল চ্যাটাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।