বাবার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে জন্ম হলো কন্যার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:২৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১২৯ Time View

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ভাটা শ্রমিক আলতাফ হোসেনের (৩৪) মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে বুধহাটা বাজার এলাকায় পৌঁছালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে থাকা গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রসাব বেদনা শুরু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম হোসেন জানান, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শামসুর রহমান সরদারের ছোট ছেলে ইটভাটা শ্রমিক আলতাফ হোসেন প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকায় একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজে যান। গত দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ হোসেন ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজে থাকা অবস্থায় শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করে প্রথমে বাড়িতে আসেন পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

কিন্তু আলতাফ হোসেনের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং আস্তে আস্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আজ সকালে তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফের গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রসাব বেদনা শুরু হয়ে কন্যা সন্তান জন্ম দেন।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী জানান, আজ দুপুরে মৃত আলতাফের জানাজা নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ও তার মা সুস্থ আছে। একদিকে স্বামীর মৃত্যের বুকফাটা কান্না অন্যদিকে সন্তান ভূমিষ্ঠের যন্ত্রণা। তার স্ত্রী ও পুরো পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ সব কিছুর উত্তম ফয়সালাকারী। আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিত করব।

Please Share This Post in Your Social Media

বাবার লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে জন্ম হলো কন্যার

Update Time : ১২:২৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ভাটা শ্রমিক আলতাফ হোসেনের (৩৪) মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে বুধহাটা বাজার এলাকায় পৌঁছালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে থাকা গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রসাব বেদনা শুরু হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম হোসেন জানান, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শামসুর রহমান সরদারের ছোট ছেলে ইটভাটা শ্রমিক আলতাফ হোসেন প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকায় একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজে যান। গত দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ হোসেন ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজে থাকা অবস্থায় শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করে প্রথমে বাড়িতে আসেন পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

কিন্তু আলতাফ হোসেনের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং আস্তে আস্তে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আজ সকালে তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফের গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের প্রসাব বেদনা শুরু হয়ে কন্যা সন্তান জন্ম দেন।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী জানান, আজ দুপুরে মৃত আলতাফের জানাজা নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু ও তার মা সুস্থ আছে। একদিকে স্বামীর মৃত্যের বুকফাটা কান্না অন্যদিকে সন্তান ভূমিষ্ঠের যন্ত্রণা। তার স্ত্রী ও পুরো পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ সব কিছুর উত্তম ফয়সালাকারী। আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে আর্থিক ও সার্বিক সহযোগিত করব।