বন্দি নিয়ে মার্কিন-ইরান বোঝাপড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বার করে নেবার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবার পরেও জো বাইডেন সেই চুক্তি পুনর্বহাল করেননি৷ কিন্তু নেপথ্যে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে৷ সেই ‘নীরব কূটনীতি’-র সুফল হিসেবে ইরান সে দেশে আটক পাঁচ মার্কিন নাগরিককে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি হিসেবে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে৷

বৃহস্পতিবার তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে তাদের মধ্যে চারজনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এক হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়৷ একজনকে কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি বাড়িতে আনা হয়েছিল৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই বন্দি ও তাদের পরিবারের দুঃস্বপ্ন শেষ হচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেন৷

মার্কিন বন্দিদের প্রতি এমন নরম আচরণের বদলে ইরানও কিছু ছাড় আদায় করতে চলেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে৷ গোপন আলোচনা সম্পর্কে অবহিত কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী পদক্ষেপ হিসেবে ইরান শর্তসাপেক্ষে ৬০০ কোটি ডলারের নাগাল পেতে পারে৷ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে প্রাপ্য সেই অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা হয়েছিল৷ এবার কাতারে বিশেষ এক অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ পাঠানো হবে৷ একমাত্র খাদ্য ও ওষুধপত্র কেনার মতো মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ইরানের সরকার সেই ইউরো অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ ব্যয় করতে পারবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেই অর্থ ইরানেরই ছিল৷ তিনি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কোনো রকম ছাড়ের সম্ভাবনা আপাতত উড়িয়ে দিয়েছেন৷ ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে৷

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বন্দি নিয়ে মার্কিন-ইরান বোঝাপড়া

Update Time : ১২:০২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে বার করে নেবার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবার পরেও জো বাইডেন সেই চুক্তি পুনর্বহাল করেননি৷ কিন্তু নেপথ্যে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে৷ সেই ‘নীরব কূটনীতি’-র সুফল হিসেবে ইরান সে দেশে আটক পাঁচ মার্কিন নাগরিককে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি হিসেবে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে৷

বৃহস্পতিবার তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগার থেকে তাদের মধ্যে চারজনকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এক হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়৷ একজনকে কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি বাড়িতে আনা হয়েছিল৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেই বন্দি ও তাদের পরিবারের দুঃস্বপ্ন শেষ হচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেন৷

মার্কিন বন্দিদের প্রতি এমন নরম আচরণের বদলে ইরানও কিছু ছাড় আদায় করতে চলেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে৷ গোপন আলোচনা সম্পর্কে অবহিত কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী পদক্ষেপ হিসেবে ইরান শর্তসাপেক্ষে ৬০০ কোটি ডলারের নাগাল পেতে পারে৷ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে পেট্রোলিয়াম বিক্রি করে প্রাপ্য সেই অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ করা হয়েছিল৷ এবার কাতারে বিশেষ এক অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ পাঠানো হবে৷ একমাত্র খাদ্য ও ওষুধপত্র কেনার মতো মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ইরানের সরকার সেই ইউরো অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ ব্যয় করতে পারবে৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেই অর্থ ইরানেরই ছিল৷ তিনি নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কোনো রকম ছাড়ের সম্ভাবনা আপাতত উড়িয়ে দিয়েছেন৷ ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থের ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে৷