বঙ্গবন্ধুকে গুলি করা নূর চৌধুরীকে নিয়ে সিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:১৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এসএইচএমবি নূর চৌধুরীকে নিয়ে বিশদ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করতে যাচ্ছে কানাডিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মত আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলবে। জানা যাবে, এই হত্যাকান্ড নিয়ে তার ভাষ্যও।
সিবিসি টেলিভিশিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হবে আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়। টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার ভেরিভাইড ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টটিতে প্রায় দেড় মিনিটের একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে, টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখা গেছে। শোনা গেছে তার কন্ঠও। আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফস স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।
ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান বাংলায় লিখেছেন, ‘গত ৭ মাস আমরা ছুটে বেরিয়েছি অটোয়া থেকে টরোন্টো, টরোন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি। জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি, নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু কানাডা সরকারের পলিসির, নাকি আরও অন্য কিছু আছে?’
বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরবর্তীতে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে।
এরপর ১৯৯৯ সালে শরনার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপীল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হতে পারে- এমন শংকার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’ এর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদন্ড সমর্থণ করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।
নূর চৌধুরী কেথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় সকলেই দীর্ঘদিন ধোয়াশার মধ্যে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিস্কার একটি ধারণা পাবে।
সিবিসি টেলিভিশন ছাড়াও তাদের অ্যাপস জেম (Gem), ওয়েবসাইট cbc.ca এবং ইউটিউব চ্যানেল : www.youtube.com/@cbcfifth থেকেও অনুসন্ধানী রিপোর্টটি দেখতে পাবেন বাংলাদেশের মানুষ।

ট্রেইলার : https://fb.watch/oi834xU8fw/

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বঙ্গবন্ধুকে গুলি করা নূর চৌধুরীকে নিয়ে সিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

Update Time : ০৫:১৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এসএইচএমবি নূর চৌধুরীকে নিয়ে বিশদ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করতে যাচ্ছে কানাডিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মত আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলবে। জানা যাবে, এই হত্যাকান্ড নিয়ে তার ভাষ্যও।
সিবিসি টেলিভিশিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হবে আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়। টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার ভেরিভাইড ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পোস্টটিতে প্রায় দেড় মিনিটের একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে, টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখা গেছে। শোনা গেছে তার কন্ঠও। আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফস স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।
ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান বাংলায় লিখেছেন, ‘গত ৭ মাস আমরা ছুটে বেরিয়েছি অটোয়া থেকে টরোন্টো, টরোন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি। জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি, নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু কানাডা সরকারের পলিসির, নাকি আরও অন্য কিছু আছে?’
বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরবর্তীতে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে।
এরপর ১৯৯৯ সালে শরনার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপীল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হতে পারে- এমন শংকার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’ এর আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদন্ড সমর্থণ করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।
নূর চৌধুরী কেথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় সকলেই দীর্ঘদিন ধোয়াশার মধ্যে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিস্কার একটি ধারণা পাবে।
সিবিসি টেলিভিশন ছাড়াও তাদের অ্যাপস জেম (Gem), ওয়েবসাইট cbc.ca এবং ইউটিউব চ্যানেল : www.youtube.com/@cbcfifth থেকেও অনুসন্ধানী রিপোর্টটি দেখতে পাবেন বাংলাদেশের মানুষ।

ট্রেইলার : https://fb.watch/oi834xU8fw/