ফের লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করল মায়ের্স্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লোহিত সাগর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আপাতত আর কোনো জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিশ্বের বৃহত্তম কন্টেইনার শিপিং কোম্পানি মায়ের্স্ক। প্রতিষ্ঠানটি এক ঘোষণায় বলেছে, লোহিত সাগর দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোতে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের হামলা চলতে থাকায় ওই পানিসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ড্যানিশ কোম্পানিটি বলেছে, লোহিত সাগর ও এডেন সাগর এড়িয়ে এখন থেকে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে তাদের জাহাজগুলো ভূমধ্যসাগরে পৌঁছাবে। প্রাচ্য থেকে একটি জাহাজকে লোহিত সাগর এড়িয়ে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসার জন্য ১০ দিন অতিরিক্ত সময় ও বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করতে হয়। কোম্পানিটি বলেছে, লোহিত সাগরের পরিস্থিতি ‘অতি উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ’ থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিল মায়ের্স্ক। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সেনাবাহিনী ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালানো শুরু করার পর নভেম্বর মাসে মায়ের্স্কসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ রেখেছিল।

কিন্তু গত মাসে মার্কিন নৌবাহিনী হুথিদের হামলা প্রতিহত করার জন্য লোহিত সাগরে একটি কথিত আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স গঠন করার ঘোষণা দেয়ার পর ড্যানিশ কোম্পানিটি গত রোববার ওই টাস্ক ফোর্সের ছত্রছায়ায় জাহাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ওই টাস্ক ফোর্সের বহু রণতরী টহল দেয়া সত্ত্বেও গত বুধবার ইসরাইল অভিমুখী আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সেনাবাহিনী। সিএমএ সিজিএম ট্যাগ নামক জাহাজটি ইয়েমেনের নৌবাহিনীর সতর্কতা কয়েক দফা উপেক্ষা করার পর এটিতে হামলা চালানো হয়। এরপর শুক্রবার মায়ের্স্ক এ সিদ্ধান্ত নিল।

ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ি গত বুধবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত ইয়েমেনের সেনাবাহিনী লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে। তবে ইসরাইলি মালিকানাধীন কিংবা ইসরাইলগামী নয় এমন কোনো জাহাজের ক্ষতি ইয়েমেন করবে না। পার্সটুডে

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ফের লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল বন্ধ করল মায়ের্স্ক

Update Time : ০৮:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

লোহিত সাগর দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আপাতত আর কোনো জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বিশ্বের বৃহত্তম কন্টেইনার শিপিং কোম্পানি মায়ের্স্ক। প্রতিষ্ঠানটি এক ঘোষণায় বলেছে, লোহিত সাগর দিয়ে যাতায়াতকারী জাহাজগুলোতে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের হামলা চলতে থাকায় ওই পানিসীমা এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ড্যানিশ কোম্পানিটি বলেছে, লোহিত সাগর ও এডেন সাগর এড়িয়ে এখন থেকে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে তাদের জাহাজগুলো ভূমধ্যসাগরে পৌঁছাবে। প্রাচ্য থেকে একটি জাহাজকে লোহিত সাগর এড়িয়ে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসার জন্য ১০ দিন অতিরিক্ত সময় ও বিপুল পরিমাণ অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করতে হয়। কোম্পানিটি বলেছে, লোহিত সাগরের পরিস্থিতি ‘অতি উচ্চ মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ’ থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিল মায়ের্স্ক। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সেনাবাহিনী ইসরাইলগামী জাহাজগুলোতে হামলা চালানো শুরু করার পর নভেম্বর মাসে মায়ের্স্কসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি বড় শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল বন্ধ রেখেছিল।

কিন্তু গত মাসে মার্কিন নৌবাহিনী হুথিদের হামলা প্রতিহত করার জন্য লোহিত সাগরে একটি কথিত আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্স গঠন করার ঘোষণা দেয়ার পর ড্যানিশ কোম্পানিটি গত রোববার ওই টাস্ক ফোর্সের ছত্রছায়ায় জাহাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ওই টাস্ক ফোর্সের বহু রণতরী টহল দেয়া সত্ত্বেও গত বুধবার ইসরাইল অভিমুখী আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সেনাবাহিনী। সিএমএ সিজিএম ট্যাগ নামক জাহাজটি ইয়েমেনের নৌবাহিনীর সতর্কতা কয়েক দফা উপেক্ষা করার পর এটিতে হামলা চালানো হয়। এরপর শুক্রবার মায়ের্স্ক এ সিদ্ধান্ত নিল।

ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়ি গত বুধবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত ইয়েমেনের সেনাবাহিনী লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইসরাইলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে যাবে। তবে ইসরাইলি মালিকানাধীন কিংবা ইসরাইলগামী নয় এমন কোনো জাহাজের ক্ষতি ইয়েমেন করবে না। পার্সটুডে