ফেনীতে করোনা সন্দেহে মরদেহ রেখে পালালো স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০
  • / ১৮৭ Time View

ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

ফেনীর সোনাগাজীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর-শ্বাসকষ্ট) নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির (৬২) মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বজনরা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের চেষ্টায় রোববার (৩১ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।

স্থানীয় মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু জানান, সোনাগাজী উপজেলার ভাদাদিয়া গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই দিন আগে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে রোববার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, মেয়ে ও জামাই কেউই মরদেহ দাফনে এগিয়ে না আসায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার দাফন শেষ হয়।

এদিকে একই দিন রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আইনজীবীর (৫০) মরদেহ ফেনী সদর উপজেলার মোটবী গ্রামে দাফন করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)। গত কয়েকদিন আগে জ্বর ও বুকের ব্যথা উঠলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ফেনীতে করোনা সন্দেহে মরদেহ রেখে পালালো স্বজনরা

Update Time : ০৮:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

ফেনী জেলা প্রতিনিধি:

ফেনীর সোনাগাজীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর-শ্বাসকষ্ট) নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির (৬২) মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন স্বজনরা। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের চেষ্টায় রোববার (৩১ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই ব্যক্তিকে দাফন করা হয়।

স্থানীয় মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু জানান, সোনাগাজী উপজেলার ভাদাদিয়া গ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই দিন আগে তাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে রোববার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন, মেয়ে ও জামাই কেউই মরদেহ দাফনে এগিয়ে না আসায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে তার দাফন শেষ হয়।

এদিকে একই দিন রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আইনজীবীর (৫০) মরদেহ ফেনী সদর উপজেলার মোটবী গ্রামে দাফন করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)। গত কয়েকদিন আগে জ্বর ও বুকের ব্যথা উঠলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।