পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তারিখ নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরির নির্ধারণে ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভা হবে। সভায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের নতুন মজুরি প্রস্তাব উপস্থাপন করবে বলে জানা গেছে। এর আগে বোর্ডের চতুর্থ সভায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা প্রস্তাব করেছিল; যা পরবর্তীতে শ্রমিক পক্ষের আপত্তি ও শ্রমিক আন্দোলনের কারণে প্রত্যাহার করে নেয় মালিকপক্ষ। তবে নতুন প্রস্তাবে মালিক পক্ষ কত টাকা বাড়াবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। অপরদিকে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা মজুরির প্রস্তাবে অনড় শ্রমিক পক্ষ।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৭ নভেম্বর সভায় মালিক পক্ষের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনায় সব পক্ষ একমত হলে বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হবে। পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে তা সুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হলে চূড়ান্ত গ্যাজেট প্রকাশ করা হবে, যা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর হবে।

এদিকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারণী ও খাতসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মালিক পক্ষের মজুরির প্রস্তাবে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। আর সে কারণেই তারা আন্দোলনে নেমেছেন। এর সমাধানে শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাবকে বেঞ্চমার্ক ধরে একটি যৌগিক মজুরি কাঠামো তৈরির পরামর্শ তাদের।

অপরদিকে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শ্রম আইন অনুসারে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি ও বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হচ্ছে। নতুন মজুরি নির্ধারিত হলে সেটিও মানা হবে। আমরা জানিয়েছি, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই নতুন কাঠামোয় মজুরি দেওয়া হবে। ফলে সেই সময়ের আগেই এ ধরনের আন্দোলন, সহিংসতা ও ভাঙচুর অগ্রহণযোগ্য। এগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ ও শিল্পের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা প্রয়োগ করবেন পোশাক মালিকরা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তারিখ নির্ধারণ

Update Time : ০২:৪৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরির নির্ধারণে ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভা হবে। সভায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের নতুন মজুরি প্রস্তাব উপস্থাপন করবে বলে জানা গেছে। এর আগে বোর্ডের চতুর্থ সভায় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা প্রস্তাব করেছিল; যা পরবর্তীতে শ্রমিক পক্ষের আপত্তি ও শ্রমিক আন্দোলনের কারণে প্রত্যাহার করে নেয় মালিকপক্ষ। তবে নতুন প্রস্তাবে মালিক পক্ষ কত টাকা বাড়াবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। অপরদিকে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা মজুরির প্রস্তাবে অনড় শ্রমিক পক্ষ।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৭ নভেম্বর সভায় মালিক পক্ষের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনায় সব পক্ষ একমত হলে বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হবে। পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে তা সুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হলে চূড়ান্ত গ্যাজেট প্রকাশ করা হবে, যা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর হবে।

এদিকে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারণী ও খাতসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মালিক পক্ষের মজুরির প্রস্তাবে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। আর সে কারণেই তারা আন্দোলনে নেমেছেন। এর সমাধানে শ্রমিক পক্ষের প্রস্তাবকে বেঞ্চমার্ক ধরে একটি যৌগিক মজুরি কাঠামো তৈরির পরামর্শ তাদের।

অপরদিকে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, শ্রম আইন অনুসারে এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি ও বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) হচ্ছে। নতুন মজুরি নির্ধারিত হলে সেটিও মানা হবে। আমরা জানিয়েছি, আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই নতুন কাঠামোয় মজুরি দেওয়া হবে। ফলে সেই সময়ের আগেই এ ধরনের আন্দোলন, সহিংসতা ও ভাঙচুর অগ্রহণযোগ্য। এগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ ও শিল্পের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা প্রয়োগ করবেন পোশাক মালিকরা।