পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের ৯৮ ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৩১ Time View
নিজস্ব প্রতিনিধি:

পুরান ঢাকার তিনটি কর অঞ্চলে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে একহাজার ৯২৪টি। এরমধ্যে ৯৮ শতাংশ গোডাউনই মাঝারি ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ। কেমিক্যাল গোডাউনের এই  তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ডিএসসিসির  পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তালিকাটি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্র।

নাম প্রকাশ না করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরান ঢাকার কর অঞ্চল ৩, ৪ ও  ৫ এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে ১৯২৪টি  কেমিক্যাল গোডাউনের সন্ধান পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই কর্মকর্তা জানান, তালিকা অনুযায়ী, কর অঞ্চল-৩ এ ১৩০১টি, কর অঞ্চল-৪ এ  ৫৮৫টি এবং কর অঞ্চল-৫ এ ৩৮টি কেমিক্যাল  গোডাউন রয়েছে। এর মধ্যে কর অঞ্চল-৩ ইসলামবাগে পাঁচশো’র মতো কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে।

 আরমানিটোলায় আগুনে পোড়া হাজী মুসা ম্যানশন, এই ভবনেও ছিল কেমিক্যালের গোডাউনতিনি বলেন, কেমিক্যালের ধরন এবং ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় মাঝারি আকারের ঝুঁকিতে থাকা কেমিক্যাল গোডাউনের সংখ্যা রয়েছে ৯৮ শতাংশ। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ০.৫ শতাংশ, নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ গোডাউনের সংখ্যা ১.৫ শতাংশ।’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে এসব তথ্যসহ গোডাউনে রাখা রাসায়নিক দ্রব্যাদির ধরন উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এই তালিকাটি পর্যবেক্ষণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করে। পরে তাদের মূল্যায়নসহ গত ২৬ এপ্রিল তালিকাটি সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়। এরপর যাচাই শেষে বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তালিকাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এই তালিকা তৈরিতে সহায়তা করেছে বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, শিল্প মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাসে সেই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।  তখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কেমিক্যাল গোডাউনের ধরন উল্লেখ করে আবারও তালিকা পাঠাতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কেমিক্যালের ধরন উল্লেখসহ সর্বশেষ  একহাজার ৯২৪টি গোডাউনের এই তালিকা তৈরি করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের ৯৮ ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ

Update Time : ১২:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি:

পুরান ঢাকার তিনটি কর অঞ্চলে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে একহাজার ৯২৪টি। এরমধ্যে ৯৮ শতাংশ গোডাউনই মাঝারি ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ। কেমিক্যাল গোডাউনের এই  তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএসসিসি।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ডিএসসিসির  পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তালিকাটি পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে করপোরেশনের দায়িত্বশীল সূত্র।

নাম প্রকাশ না করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, পুরান ঢাকার কর অঞ্চল ৩, ৪ ও  ৫ এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে ১৯২৪টি  কেমিক্যাল গোডাউনের সন্ধান পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এই কর্মকর্তা জানান, তালিকা অনুযায়ী, কর অঞ্চল-৩ এ ১৩০১টি, কর অঞ্চল-৪ এ  ৫৮৫টি এবং কর অঞ্চল-৫ এ ৩৮টি কেমিক্যাল  গোডাউন রয়েছে। এর মধ্যে কর অঞ্চল-৩ ইসলামবাগে পাঁচশো’র মতো কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে।

 আরমানিটোলায় আগুনে পোড়া হাজী মুসা ম্যানশন, এই ভবনেও ছিল কেমিক্যালের গোডাউনতিনি বলেন, কেমিক্যালের ধরন এবং ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় মাঝারি আকারের ঝুঁকিতে থাকা কেমিক্যাল গোডাউনের সংখ্যা রয়েছে ৯৮ শতাংশ। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ০.৫ শতাংশ, নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ গোডাউনের সংখ্যা ১.৫ শতাংশ।’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে এসব তথ্যসহ গোডাউনে রাখা রাসায়নিক দ্রব্যাদির ধরন উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এই তালিকাটি পর্যবেক্ষণ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করে। পরে তাদের মূল্যায়নসহ গত ২৬ এপ্রিল তালিকাটি সিটি করপোরেশনে পাঠানো হয়। এরপর যাচাই শেষে বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তালিকাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এই তালিকা তৈরিতে সহায়তা করেছে বিস্ফোরক অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস, শিল্প মন্ত্রণালয়, ফায়ার সার্ভিস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনের তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ডিসেম্বর মাসে সেই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।  তখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কেমিক্যাল গোডাউনের ধরন উল্লেখ করে আবারও তালিকা পাঠাতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কেমিক্যালের ধরন উল্লেখসহ সর্বশেষ  একহাজার ৯২৪টি গোডাউনের এই তালিকা তৈরি করা হয়।