পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি, ঢাকা-শরীয়তপুর যান চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
  • / ১৩০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর পানি বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রোববার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টায় নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আহসান হাবীব বলেন, রোববার সকাল ৯টায় নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে সড়ক ও নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের ১৩ স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে তিনটি স্থান ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত পাঁচ দিন যাবত ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কে জেলার ও দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের যান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নড়িয়া ও জাজিরার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে বন্যায় জেলায় প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। ত্রাণের নৌকা দেখলেই ভিড় করছেন মানুষ। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান শুক্রবার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়ন, নড়িয়া পৌরসভা এবং শনিবার জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট, পাইনপাড়া এলাকায় বন্যা দুর্গত মোট ৩৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি, ঢাকা-শরীয়তপুর যান চলাচল বন্ধ

Update Time : ০৫:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

শরীয়তপুরে পদ্মা নদীর পানি বাড়তে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রোববার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টায় নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম আহসান হাবীব বলেন, রোববার সকাল ৯টায় নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার কারণে সড়ক ও নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কের ১৩ স্থান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে তিনটি স্থান ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত পাঁচ দিন যাবত ঢাকা-শরীয়তপুর মহাসড়কে জেলার ও দূরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ সকল ধরনের যান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নড়িয়া ও জাজিরার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে বন্যায় জেলায় প্রায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় চলছে ত্রাণের জন্য হাহাকার। ত্রাণের নৌকা দেখলেই ভিড় করছেন মানুষ। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭০ মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান শুক্রবার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়ন, নড়িয়া পৌরসভা এবং শনিবার জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট, পাইনপাড়া এলাকায় বন্যা দুর্গত মোট ৩৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।