বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে, শহরের ডিআইটি রেলওয়ে মসজিদে মুসল্লিদের সামনে এ ঘোষণা দেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় চারজন নেতা ও স্থানীয় হেফাজতের নেতাদের নিয়ে তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে পদত্যাগের ঘোষণা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন আব্দুল আউয়াল।
বৈঠক শেষে হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক গণমাধ্যমের সামনে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হেফাজতের অতি উৎসাহী কিছু কর্মীর আচরণে ব্যথিত হয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন। তার সাথে আলোচনা করলে পুনরায় দায়িত্ব নিতে রাজি হন তিনি। পূর্বের মত আগামীতেও তিনি নারায়ণগঞ্জ হেফাজতের নেতৃত্ব দিবেন।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা দেশজুড়ে হেফাজতের তাণ্ডব, গণমাধ্যমের ওপর হামলার কারণ জানতে চাইলে মামুনুল হক বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীরা কোন হামলা চালায়নি। সড়ক অবরোধ করেছে তবে ভাঙচুর বা কোন বিশৃঙ্খলার নির্দেশনা ছিলো না। যারা করেছে তারা বহিরাগত এবং হেফাজতকে বিতর্কিত করতে এসব করেছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব, হেফাজতের ঢাকা মহানগরের যুগ্ন সম্পাদক ফজলুল করীম কাশেমী, যুগ্ন মহাসচিব মুফতি মনির হুসাইন আল্লামা মনির হোসাইন কাশেমী, মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা জসীম উদ্দিন আল হাবীব, মাওলানা ইসমাইল আব্বাসী, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মাওলানা মুফতি হারুনুর রশিদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে পবিত্র শবে বরাতের বয়ানে মাওলানা আব্দুল আউয়াল হেফাজতের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।