নোবিপ্রবি সায়েন্স ক্লাবের পিএইচডি’র গল্প শুরু
- Update Time : ০৭:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
- / ১৪৪ Time View
এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবিঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হয়েছে “পিএইচডি’র গল্প শীর্ষক আয়োজন।
আজ(১১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী পর্বের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করা ও উচ্চশিক্ষায় দিকনির্দেশনা প্রদানে এই আয়োজন শুরু করেছে নোবিপ্রবি সায়েন্স ক্লাব।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।
উদ্বোধনী প্রোগ্রামে পিএইচডির গল্প,অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোবিপ্রবি সায়েন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
মূল আলাচক অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর জাপানের উতসুনামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি বলেন, ‘রিসার্চ কোলাবরশনের মাধ্যমে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার দ্বার প্রতিনিয়ত উন্মোচিত হচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী জাপানসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রি অর্জন করছে। এক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষার্থীদের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। গবেষণার ক্ষেত্রে শতভাগ সৎ থাকতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে। ব্যর্থতা আসবে কিন্তু সফলতার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, তবেই একজন সফল গবেষক হয়ে ওঠা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, পিএইচডি বিষয়ক এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। একজন গবেষক পিএইচডি করতে গেলে নানা অজানা অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। তার এসব অভিজ্ঞতা নতুনদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। এ উদ্যোগ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। ভালো মানের থিসিস পেতে হলে অবশ্যই ভালো মানের গবেষক সৃষ্টি করতে হবে। মৌলিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে এবং তখনই তা কাজে আসবে। নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখবে এ প্রত্যাশা করছি। আয়াজকদের এবং আজকের প্রধান আলাচককে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
আয়োজকরা জানান, প্রতি মাসে ২ টি করে সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা তাদের পিএইচডি যাত্রার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন।
উদ্বোধনী পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।