নেত্রকোনায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:২১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫০ Time View

 

ইকবাল হাসান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোঃ সাইদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে চন্দ্রকোনা মায়ানগর গ্রামের মো.গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ হনুফা আক্তার (২৫) এর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চন্দ্রকোনা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

আহত সাইদুল ইসলাম উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নলুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় সাইদুলের বড় ভাই মো. আ. আজিজ বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাদী হয়ে হনুফা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনুর এ আলম বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার নলুয়াপাড়া চায়না মোড়ে সাইদুলের একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান রয়েছে। সে দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন কাজে আসা যাওয়া করতেন হনুফা আক্তার। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে সাইদুলকে বিবাহ করার বাসনা জাগে হনুফা আক্তারের।

হনুফা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাইদুল তা নাকচ করে দেয়। কিন্ত হনুফা তার মনের বাসনা পূরনে সময়ে অসময়ে মোবাইল ফোনে ডিস্টার্ব এবং হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে সাইদুলকে ফোন দিয়ে আবারো বিয়ের প্রস্তাব দেয় হনুফা। সেই প্রস্তাব নাকচ করে সাইদুল। এক পর্যায়ে হনুফা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে সে যদি সাইদুলকে না পায় তাহলে অন্য কেনো মেয়েকে সাইদুলকে পেতে দিবে না। প্রয়োজনে সাইদুলের পুরুষত্ব জীবনের জন্য শেষ করে দিবে বলে হুমকি দেয় হনুফা।

ওইদিন সন্ধ্যায় সাইদুল নলুয়াপাড়া চায়না মোড় ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে ফেসবুক চালাচ্ছিল। এসময় অভিযুক্ত ৪ জনসহ নাম না জানা আরো ৪ জন অটোযোগে আসিয়া ব্রীজের উপর থেকে তাকে ধরে চোখ মুখ বাঁধিয়া অটোযোগে চন্দ্রকোনা ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে নিয়ে যায়।

সেখান নিয়ে সাইদুলের চোখের বাঁধন খুলে হনুফা বলে, ‘আমাকে ভালো করে দেখে নে। আমাকে বিয়ে করলে তোর আজ এই পরিস্থিতি হইতো না এই বলে হনুফা তার কোমর থেকে একটি ধারালো ছুরি বের করে সাইদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।’

এ সময় সাইদুল জ্ঞান হারালে হনুফা মনে করে তার মৃত্যু হয়েছে। তখন তারা সকলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে সাইদুল তাঁর ভাইয়ের ফোনে ফোন দিয়ে সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপর নদীর চর থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ আলম আরো জানান, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

নেত্রকোনায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কর্তন

Update Time : ০৩:২১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

 

ইকবাল হাসান, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোঃ সাইদুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন করার অভিযোগ উঠেছে চন্দ্রকোনা মায়ানগর গ্রামের মো.গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ হনুফা আক্তার (২৫) এর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চন্দ্রকোনা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

আহত সাইদুল ইসলাম উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নলুয়াপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় সাইদুলের বড় ভাই মো. আ. আজিজ বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাদী হয়ে হনুফা আক্তার, গিয়াস উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাহাঙ্গীরসহ অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহনুর এ আলম বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার নলুয়াপাড়া চায়না মোড়ে সাইদুলের একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান রয়েছে। সে দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন কাজে আসা যাওয়া করতেন হনুফা আক্তার। আসা যাওয়ার এক পর্যায়ে সাইদুলকে বিবাহ করার বাসনা জাগে হনুফা আক্তারের।

হনুফা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাইদুল তা নাকচ করে দেয়। কিন্ত হনুফা তার মনের বাসনা পূরনে সময়ে অসময়ে মোবাইল ফোনে ডিস্টার্ব এবং হুমকি দিতে থাকে।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সকালে সাইদুলকে ফোন দিয়ে আবারো বিয়ের প্রস্তাব দেয় হনুফা। সেই প্রস্তাব নাকচ করে সাইদুল। এক পর্যায়ে হনুফা ক্ষিপ্ত হয়ে বলে সে যদি সাইদুলকে না পায় তাহলে অন্য কেনো মেয়েকে সাইদুলকে পেতে দিবে না। প্রয়োজনে সাইদুলের পুরুষত্ব জীবনের জন্য শেষ করে দিবে বলে হুমকি দেয় হনুফা।

ওইদিন সন্ধ্যায় সাইদুল নলুয়াপাড়া চায়না মোড় ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে ফেসবুক চালাচ্ছিল। এসময় অভিযুক্ত ৪ জনসহ নাম না জানা আরো ৪ জন অটোযোগে আসিয়া ব্রীজের উপর থেকে তাকে ধরে চোখ মুখ বাঁধিয়া অটোযোগে চন্দ্রকোনা ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে নিয়ে যায়।

সেখান নিয়ে সাইদুলের চোখের বাঁধন খুলে হনুফা বলে, ‘আমাকে ভালো করে দেখে নে। আমাকে বিয়ে করলে তোর আজ এই পরিস্থিতি হইতো না এই বলে হনুফা তার কোমর থেকে একটি ধারালো ছুরি বের করে সাইদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।’

এ সময় সাইদুল জ্ঞান হারালে হনুফা মনে করে তার মৃত্যু হয়েছে। তখন তারা সকলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে সাইদুল তাঁর ভাইয়ের ফোনে ফোন দিয়ে সমস্ত ঘটনা জানায়। এরপর নদীর চর থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর-এ আলম আরো জানান, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।