নববর্ষের দিন বিকাল ৫ টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশে মানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৩৯ Time View

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দময় পরিবেশে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

আজ, রবিবার (০৩ এপ্রিল) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান । সভায় ঢাবি ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

উপাচার্য বলেন, নববর্ষ উদ্যাপন করার সময় মেট্রোরেলের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় কোভিড-১৯ বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা টিএসসি থেকে বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি স্মৃতি চিরন্তন হয়ে পুনরায় টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে।

এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের তৈরি করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ভুভুজেলা বাজানো ও তা বিক্রি থেকে বিরত থাকতেও সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি ঢুকতে পারবে না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যান চলবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার জন্য চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাট ফটক, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন ফটক ব্যবহার করা যাবে।

আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন ফটক, রমনা কালীমন্দিরসংলগ্ন ফটক ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ব্যবহার করতে হবে।

আর পহেলা বৈশাখে সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। ওই দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এই সময়ের পর কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না। ৫টার পর সবাইকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে।

উক্ত সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর, অফিস প্রধানগণ ও বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নববর্ষের দিন বিকাল ৫ টার পর ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশে মানা

Update Time : ১০:৫৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দময় পরিবেশে বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।

আজ, রবিবার (০৩ এপ্রিল) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান । সভায় ঢাবি ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

উপাচার্য বলেন, নববর্ষ উদ্যাপন করার সময় মেট্রোরেলের চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় কোভিড-১৯ বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কারণে চলাচলের পথ সরু থাকায় এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা টিএসসি থেকে বের করা হবে। শোভাযাত্রাটি স্মৃতি চিরন্তন হয়ে পুনরায় টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে।

এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের তৈরি করা মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ভুভুজেলা বাজানো ও তা বিক্রি থেকে বিরত থাকতেও সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি ঢুকতে পারবে না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যান চলবে না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার জন্য চারুকলা অনুষদের সামনে ছবির হাট ফটক, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন ফটক ব্যবহার করা যাবে।

আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসংলগ্ন ফটক, রমনা কালীমন্দিরসংলগ্ন ফটক ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক ব্যবহার করতে হবে।

আর পহেলা বৈশাখে সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। ওই দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এই সময়ের পর কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যাবে না। ৫টার পর সবাইকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে।

উক্ত সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর, অফিস প্রধানগণ ও বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।