দেড়মাস আটকে রেখে শিশু ধর্ষণ, ৩৬ ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫১ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক  চট্টগ্রাম:

টানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ১২ বছর বয়সি শিশুটিকে গত দেড়মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করছিল চার পাষণ্ড।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান মামুন।

তিনি জানান, কক্সবাজারের কস্তুরাঘাট ও খুরুশকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে  মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময়  ঘটনার মূল নায়ক ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, শিশুটির মা অভিযোগ করেন গত ১ সেপ্টেম্বর শাহাবদ্দিন ও তার তিন সহযোগী মিলে তার মেয়েকে অপহরণ করে প্রায় দেড় মাস যাবত অজানা স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ ঘটনার সত্যতা যাছাই এবং আসামিদের গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে তারা কক্সবাজার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল থেকে শুক্রবারি ভোর পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযানে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামি  শাহাবউদ্দীনসহ অপর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, ‘আসামিরা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করায় অভিযানটি ছিল কষ্টসাধ্য। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় আসামিরা কক্সবাজার সদর থানার কস্তুরা ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে অভিযান শুরু হয়।র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রধান আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তার তথ্যের ভিত্তিতে অপর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান,  গ্রেফতারকৃতদের কক্সবাজার জেলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দেড়মাস আটকে রেখে শিশু ধর্ষণ, ৩৬ ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধার

Update Time : ০৬:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক  চট্টগ্রাম:

টানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার থেকে এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। ১২ বছর বয়সি শিশুটিকে গত দেড়মাস ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করছিল চার পাষণ্ড।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান মামুন।

তিনি জানান, কক্সবাজারের কস্তুরাঘাট ও খুরুশকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে  মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময়  ঘটনার মূল নায়ক ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, শিশুটির মা অভিযোগ করেন গত ১ সেপ্টেম্বর শাহাবদ্দিন ও তার তিন সহযোগী মিলে তার মেয়েকে অপহরণ করে প্রায় দেড় মাস যাবত অজানা স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করছে। অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ ঘটনার সত্যতা যাছাই এবং আসামিদের গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে তারা কক্সবাজার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল থেকে শুক্রবারি ভোর পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘণ্টা অভিযানে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামি  শাহাবউদ্দীনসহ অপর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, ‘আসামিরা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করায় অভিযানটি ছিল কষ্টসাধ্য। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় আসামিরা কক্সবাজার সদর থানার কস্তুরা ঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে অভিযান শুরু হয়।র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রধান আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তার তথ্যের ভিত্তিতে অপর তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান,  গ্রেফতারকৃতদের কক্সবাজার জেলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।