দেশে জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৫০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১১৭ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক: 
.

জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, করোনার টিকা টিকা সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে নেয়া হচ্ছে পূর্ব প্রস্তুতি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং দেশবাসীকে অবহিত করছে।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

আন্তর্জাতিক সংস্থাসগুলোকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে শেখ হাসিনার সরকার বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে আসছে। কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেয়ায় তাদের ভরণ-পোষণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ধারণ ক্ষমতার কম জায়গায় অধিক সংখ্যক মানুষ বসবাস করায় হুমকির মুখে পড়েছে সামাজিক পরিবেশ। দেখা দিয়েছে মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় সরকার ভাসানচরে অধিকতর সুযোগ সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এমতাবস্থায় যারা এরইমধ্যে ভাসানচরে গেছে, তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুজাতিক গণমাধ্যম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কথা প্রচার করছে। যা সত্য নয়। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকেই স্থানান্তর করা হচ্ছে। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে নয়।

বিএনপি নেতারা বলেছেন ‘সরকার নাকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে’ এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, কারা ক্ষমতায় যেতে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে। কারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি সংস্থার কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে নৈতিক সাহায্য প্রার্থনা করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দেশে জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন আসবে

Update Time : ০৯:৫০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক: 
.

জানুয়ারির শেষে কিংবা ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, করোনার টিকা টিকা সংগ্রহ এবং ব্যবস্থাপনার বিষয়টি সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে নেয়া হচ্ছে পূর্ব প্রস্তুতি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে এবং দেশবাসীকে অবহিত করছে।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।

আন্তর্জাতিক সংস্থাসগুলোকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের শুরু থেকে শেখ হাসিনার সরকার বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে আসছে। কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ-উখিয়ায় আশ্রয় নেয়ায় তাদের ভরণ-পোষণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। ধারণ ক্ষমতার কম জায়গায় অধিক সংখ্যক মানুষ বসবাস করায় হুমকির মুখে পড়েছে সামাজিক পরিবেশ। দেখা দিয়েছে মানবিক ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সৈকত ঘিরে পর্যটন শিল্পের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় সরকার ভাসানচরে অধিকতর সুযোগ সুবিধা দিয়ে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এমতাবস্থায় যারা এরইমধ্যে ভাসানচরে গেছে, তারা স্বস্তি প্রকাশ করলেও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বহুজাতিক গণমাধ্যম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কথা প্রচার করছে। যা সত্য নয়। যারা স্বেচ্ছায় যেতে চেয়েছে শুধুমাত্র তাদেরকেই স্থানান্তর করা হচ্ছে। কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে নয়।

বিএনপি নেতারা বলেছেন ‘সরকার নাকি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে’ এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে, কারা ক্ষমতায় যেতে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে। কারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি সংস্থার কাছে প্রকাশ্য দিবালোকে নৈতিক সাহায্য প্রার্থনা করে।