দীর্ঘ ৩ মাস পর কুমেক হাসপাতালে যোগ দিলেন ডাঃ আজিজুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১৪১ Time View

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ: 

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের নতুন পরিচালক হিসেবে ৩ মাস পূর্বে নিয়োগ পেয়েছিলেন ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন একই পদে থাকাই ডাঃ আজিজ আর যোগদান দিতে পারেনি।

গতমাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিসেবে ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নাম ঘোষনা করেন।

গতকাল ডাঃ আজিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালকের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।তিনি চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদানের উদ্দেশ্যে কুমেক হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়ে যাত্রা করেন।

জানা যায়,ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লা সরকারি মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এর অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ডাঃ মোঃ আজিজুর রহমান ১৫ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি কুমিল্লা ডেপুটি সিভিল সার্জন, পরবর্তীতে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ও চট্রগ্রামের সিভিল সার্জন ছিলেন পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন।

ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার গিলাতলী গ্রামের মোঃ আনোয়ারুল আজীম সিদ্দিকী ও মাতা কাজী খাদিজা বেগমের সন্তান।

পরিচালক পদে যোগদানের পর তিনি বলেন,দীর্ঘমাস পর যোগদান দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।এখন আমার কাজ পূর্বের ন্যায় রুগীদের সেবা গুলো চলমান রাখা।ডাঃ মহিউদ্দিন সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞ,তিনি যেভাবে হাসপাতালটি গড়েছেন তা অকল্পনীয়।আজ কুমেক হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি।রুগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি।বিশেষ করে ইমার্জেন্সি বিভাগে ডাক্তার দেখে ভালো লাগলো।কারন ডাক্তার যদি ইমারজেন্সি বিভাগে না থাকে তাহলে রুগীদের জন্য অনেক কষ্টকর।

তিনি আরও বলেন,হাসপাতালের চারদিকে ফুলের বাগান থেকে আমার আরো ভালো লেগেছে।কারন ১০ বছর আগে এসব জায়গায় দেখেছি অনেক ময়লা।আর হাসপাতাল থেকে দালাল আটক করতে আনসার বাহিনীদের নির্দেশনা দিয়েছি।যাতে একটাও দালাল হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারে।হাসপাতালের বাথরুম গুলোতে কিছু সমস্যা আছে।এগুলো পরিষ্কার ও ঠিকঠাক করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।সবমিলে আরো কিছ পরিবর্তন করতে হলে একটু সময়ের প্রয়োজন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক,কর্মকর্তা-কর্মচারী,ওয়ার্ড মাস্টারসহ আরো অনেকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

দীর্ঘ ৩ মাস পর কুমেক হাসপাতালে যোগ দিলেন ডাঃ আজিজুর রহমান

Update Time : ০৬:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ: 

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের নতুন পরিচালক হিসেবে ৩ মাস পূর্বে নিয়োগ পেয়েছিলেন ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন একই পদে থাকাই ডাঃ আজিজ আর যোগদান দিতে পারেনি।

গতমাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিসেবে ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নাম ঘোষনা করেন।

গতকাল ডাঃ আজিজকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালকের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।তিনি চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদানের উদ্দেশ্যে কুমেক হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়ে যাত্রা করেন।

জানা যায়,ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লা সরকারি মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এর অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ডাঃ মোঃ আজিজুর রহমান ১৫ তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি কুমিল্লা ডেপুটি সিভিল সার্জন, পরবর্তীতে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ও চট্রগ্রামের সিভিল সার্জন ছিলেন পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন।

ডাঃ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার গিলাতলী গ্রামের মোঃ আনোয়ারুল আজীম সিদ্দিকী ও মাতা কাজী খাদিজা বেগমের সন্তান।

পরিচালক পদে যোগদানের পর তিনি বলেন,দীর্ঘমাস পর যোগদান দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।এখন আমার কাজ পূর্বের ন্যায় রুগীদের সেবা গুলো চলমান রাখা।ডাঃ মহিউদ্দিন সাহেবের প্রতি কৃতজ্ঞ,তিনি যেভাবে হাসপাতালটি গড়েছেন তা অকল্পনীয়।আজ কুমেক হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি।রুগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি।বিশেষ করে ইমার্জেন্সি বিভাগে ডাক্তার দেখে ভালো লাগলো।কারন ডাক্তার যদি ইমারজেন্সি বিভাগে না থাকে তাহলে রুগীদের জন্য অনেক কষ্টকর।

তিনি আরও বলেন,হাসপাতালের চারদিকে ফুলের বাগান থেকে আমার আরো ভালো লেগেছে।কারন ১০ বছর আগে এসব জায়গায় দেখেছি অনেক ময়লা।আর হাসপাতাল থেকে দালাল আটক করতে আনসার বাহিনীদের নির্দেশনা দিয়েছি।যাতে একটাও দালাল হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারে।হাসপাতালের বাথরুম গুলোতে কিছু সমস্যা আছে।এগুলো পরিষ্কার ও ঠিকঠাক করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।সবমিলে আরো কিছ পরিবর্তন করতে হলে একটু সময়ের প্রয়োজন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক,কর্মকর্তা-কর্মচারী,ওয়ার্ড মাস্টারসহ আরো অনেকে।