ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক কার্জনের জামিন মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৩৪ Time View

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)। বিতর্কিত স্ট্যাটাসের কারণে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচশত টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন।

এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অবিযোগ এনে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক গত বছরের ১ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হাফিজুর রহমান কার্জন মানহানিকর সর্বোপরি সনাতন ধর্মের ভগবানকে নিয়ে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। যেটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল ও সরকারকে বিব্রত করার মানসে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে অধ্যাপক কার্জন সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমা চান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক কার্জনের জামিন মঞ্জুর

Update Time : ০৬:০২:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)। বিতর্কিত স্ট্যাটাসের কারণে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচশত টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২২ জুলাই হাফিজুর রহমান কার্জন ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন।

এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অবিযোগ এনে বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক গত বছরের ১ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হাফিজুর রহমান কার্জন মানহানিকর সর্বোপরি সনাতন ধর্মের ভগবানকে নিয়ে হেয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। যেটি এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে অস্থিতিশীল ও সরকারকে বিব্রত করার মানসে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ উঠলে অধ্যাপক কার্জন সঙ্গে সঙ্গে স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন এবং ক্ষমা চান।