ঢাবিতে ছাত্রলীগের নির্ধারিত রিকশাভাড়া মানছেনা চালকরা, শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:২২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩১২ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অত্যাধিক রিকশা ভাড়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আর বর্ষা মৌসুমে এ ভোগান্তি যেন কোনো বাধাই মানছে না।

ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ ১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা । সল্প দুরত্বের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ টাকা কার্যকর থাকলেও একটু বেশি দুরত্বের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো ভাড়া দাবি করেন রিকশা চালকেরা। আর বাধ্য হয়ে তাই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

রিক্সাওয়ালাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়টি জানেন না। আর যারা এ ব্যাপারে অবগত তারা বলছেন, এই ভাড়ায় গন্তব্যে নিয়ে গেলে তাদের জীবন যাপন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাবে। আর বৃষ্টি-বাদলের দিনে একটু বেশি ভাড়া আশা করেন বলেও জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ মিনার বা কার্জন হল থেকে বঙ্গমাতা বা মৈত্রী হলে যেতেই গুনতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। পলাশী মোড় থেকে কার্জন হল বা শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাস পর্যন্ত দিতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা। অথচ সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা/মৈত্রী হল থেকে সুফিয়া কামাল/অমর একুশে হল পর্যন্ত।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়ার প্রায় দ্বিগুন দিয়েও গন্তব্যে যেতে হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন অনেক সময় ক্লাসে সময়মতো পৌঁছানোর জন্য রিকশা ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করার সুযোগ থাকে না। পরে ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায়ই তর্কে লিপ্ত হতে হয় তাদের।

ভাড়া নিয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা এথিনা বিডিসমাচারকে বলেন, ভাড়া নির্ধারণ করার পর দুইদিন শুধু এটা মেনে চলেছিল রিক্সাওয়ালারা। এরপর থেকে আগের মতোই। বললেও মামারা কথা শুনে না। হল থেকে ডিপার্টমেন্টে (শহীদ মিনারের বিপরীতে) যেতে ৫০-৬০ টাকা দিতে হয় বলে জানান তিনি। যেখানে এই গন্তব্যের জন্য নির্ধারিত ভাড়া হলো ৪০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী হামিদুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত রিক্সাভাড়া শুধু চার্টেই বিদ্যমান। বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। রিকশাওয়ালারা ফাঁকা বসে থাকলেও নির্ধারিত ভাড়ায় গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান না।

তিনি বলেন, হলপাড়া থেকে বাংলা একাডেমি পর্যন্ত যেতে হলে ৩৫-৪০ টাকা দিতে হচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়া কত তা মনে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্ধারিত ভাড়া জেনে তো কোনো উপকার হচ্ছে না। যে ভাড়ায় রিক্সাওয়ালারা নিয়ে যান সেটাই দিতে হয়। হলপাড়া থেকে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত ভাড়া ২৫ টাকা।

জানতে চাইলে কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিশমি বলেন, আমার হল সুফিয়া কামাল। আর ডিপার্টমেন্ট হলো শহীদ মিনারের সামনে আইন অনুষদ। আমাদের ক্লাস থাকে সকাল /বিকাল বিক্ষিপ্ত সময়ে। এদিকে হলের ছোট্ট একটা বাস। সারাক্ষণ ভিড়, নির্ধারিত সময়ে মাত্র কয়েক বার ট্রিপ এসব কারণে বাধ্য হয়ে প্রায়ই রিকশা নিতে হয়। ক্লাসে আসা,টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোতে যাওয়া, কলাভবন বা সোশ্যাল সাইন্সের ওদিকে বিভিন্ন সেমিনারে যাওয়া কিংবা নীলক্ষেতে বই কিনতে যাবার সময় রিকশাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে বাতচিত তর্কে গিয়ে ঠেকে!

রিক্সাচালকরা ছাত্রলীগের নির্ধারণ করা ভাড়া নিতে চায় না উল্লেখ করে মিশমি বলেন, তাদের মতে ভাড়া ঠিক করে দেবার আমরা কে ! ওটায় তাদের পোষায় না। তো ৬০/৭০ টাকা ভাড়া যা যেতে আসতে ১০০ ‘র ওপরে যায় এটা তো কিছুটা অসহনীয় ব্যাপারই !

এদিকে চলমান বাজার মূল্যকে বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত রিক্সা ভাড়া একটু কমই রয়ে গেছে বলে মনে করছেন আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মসিউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থী। আমাদের জন্য যেমন বেশি ভাড়া দেওয়া কষ্টদায়ক তেমনি এই পরিস্থিতি রিক্সাচালকদের জন্যও এই ভাড়া নিয়ে রিক্সা চালানো কষ্টের ব্যাপার।

এ প্রসঙ্গে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বিডি সমাচারকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার গুলোতে যে নিরাপত্তা বক্সগুলো রয়েছে সেগুলো চালু হলে এই রিক্সা ভাড়ার বিষয়টি মনিরটিং করা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আর বর্ষা মৌসুমে রিক্সাওয়ালাদের ভাড়া একটু বেশি চাওয়াকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে যেহেতু ভাড়ার চার্ট ঝুলানো রয়েছে সেহেতু রিক্সাওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিলে তা শিক্ষার্থীর উপরই বর্তায়। কারণ ভাড়া তো নির্ধারিত।

তবে এ ব্যাপারে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্বীকার করে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আসলে বিশ্ববিদ্যালয় তো একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে কোনটি ক্যাম্পাসের রিক্সা আর কোনটি বাইরের তা নির্ধারণ করা হয় নি। তাই এই ভাড়া কম-বেশি আদায় করার ব্যাপারটি হয়তো থেকে গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ২০২৩ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানের অফিসে গিয়ে রিকশাভাড়া কমানো সম্পর্কিত প্রস্তাবটি করেন।পরে প্রশাসন থেকে রিকশাভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবিতে ছাত্রলীগের নির্ধারিত রিকশাভাড়া মানছেনা চালকরা, শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ভোগান্তি

Update Time : ০৪:২২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অত্যাধিক রিকশা ভাড়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আর বর্ষা মৌসুমে এ ভোগান্তি যেন কোনো বাধাই মানছে না।

ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার সর্বনিম্ন পরিমাণ ১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ৫৫ টাকা । সল্প দুরত্বের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫ টাকা কার্যকর থাকলেও একটু বেশি দুরত্বের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো ভাড়া দাবি করেন রিকশা চালকেরা। আর বাধ্য হয়ে তাই অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

রিক্সাওয়ালাদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়টি জানেন না। আর যারা এ ব্যাপারে অবগত তারা বলছেন, এই ভাড়ায় গন্তব্যে নিয়ে গেলে তাদের জীবন যাপন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাবে। আর বৃষ্টি-বাদলের দিনে একটু বেশি ভাড়া আশা করেন বলেও জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ মিনার বা কার্জন হল থেকে বঙ্গমাতা বা মৈত্রী হলে যেতেই গুনতে হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। পলাশী মোড় থেকে কার্জন হল বা শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাস পর্যন্ত দিতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা। অথচ সর্বোচ্চ ভাড়া ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা/মৈত্রী হল থেকে সুফিয়া কামাল/অমর একুশে হল পর্যন্ত।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়ার প্রায় দ্বিগুন দিয়েও গন্তব্যে যেতে হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন অনেক সময় ক্লাসে সময়মতো পৌঁছানোর জন্য রিকশা ভাড়া নিয়ে দর কষাকষি করার সুযোগ থাকে না। পরে ভাড়া পরিশোধ করতে গিয়ে প্রায়ই তর্কে লিপ্ত হতে হয় তাদের।

ভাড়া নিয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া সুলতানা এথিনা বিডিসমাচারকে বলেন, ভাড়া নির্ধারণ করার পর দুইদিন শুধু এটা মেনে চলেছিল রিক্সাওয়ালারা। এরপর থেকে আগের মতোই। বললেও মামারা কথা শুনে না। হল থেকে ডিপার্টমেন্টে (শহীদ মিনারের বিপরীতে) যেতে ৫০-৬০ টাকা দিতে হয় বলে জানান তিনি। যেখানে এই গন্তব্যের জন্য নির্ধারিত ভাড়া হলো ৪০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী হামিদুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত রিক্সাভাড়া শুধু চার্টেই বিদ্যমান। বাস্তবে এর কোনো প্রয়োগ নেই। রিকশাওয়ালারা ফাঁকা বসে থাকলেও নির্ধারিত ভাড়ায় গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান না।

তিনি বলেন, হলপাড়া থেকে বাংলা একাডেমি পর্যন্ত যেতে হলে ৩৫-৪০ টাকা দিতে হচ্ছে। নির্ধারিত ভাড়া কত তা মনে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্ধারিত ভাড়া জেনে তো কোনো উপকার হচ্ছে না। যে ভাড়ায় রিক্সাওয়ালারা নিয়ে যান সেটাই দিতে হয়। হলপাড়া থেকে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত ভাড়া ২৫ টাকা।

জানতে চাইলে কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিশমি বলেন, আমার হল সুফিয়া কামাল। আর ডিপার্টমেন্ট হলো শহীদ মিনারের সামনে আইন অনুষদ। আমাদের ক্লাস থাকে সকাল /বিকাল বিক্ষিপ্ত সময়ে। এদিকে হলের ছোট্ট একটা বাস। সারাক্ষণ ভিড়, নির্ধারিত সময়ে মাত্র কয়েক বার ট্রিপ এসব কারণে বাধ্য হয়ে প্রায়ই রিকশা নিতে হয়। ক্লাসে আসা,টিএসসি ভিত্তিক সংগঠনগুলোতে যাওয়া, কলাভবন বা সোশ্যাল সাইন্সের ওদিকে বিভিন্ন সেমিনারে যাওয়া কিংবা নীলক্ষেতে বই কিনতে যাবার সময় রিকশাওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে বাতচিত তর্কে গিয়ে ঠেকে!

রিক্সাচালকরা ছাত্রলীগের নির্ধারণ করা ভাড়া নিতে চায় না উল্লেখ করে মিশমি বলেন, তাদের মতে ভাড়া ঠিক করে দেবার আমরা কে ! ওটায় তাদের পোষায় না। তো ৬০/৭০ টাকা ভাড়া যা যেতে আসতে ১০০ ‘র ওপরে যায় এটা তো কিছুটা অসহনীয় ব্যাপারই !

এদিকে চলমান বাজার মূল্যকে বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত রিক্সা ভাড়া একটু কমই রয়ে গেছে বলে মনে করছেন আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মসিউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থী। আমাদের জন্য যেমন বেশি ভাড়া দেওয়া কষ্টদায়ক তেমনি এই পরিস্থিতি রিক্সাচালকদের জন্যও এই ভাড়া নিয়ে রিক্সা চালানো কষ্টের ব্যাপার।

এ প্রসঙ্গে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বিডি সমাচারকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার গুলোতে যে নিরাপত্তা বক্সগুলো রয়েছে সেগুলো চালু হলে এই রিক্সা ভাড়ার বিষয়টি মনিরটিং করা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। আগামী ২ মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আর বর্ষা মৌসুমে রিক্সাওয়ালাদের ভাড়া একটু বেশি চাওয়াকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে যেহেতু ভাড়ার চার্ট ঝুলানো রয়েছে সেহেতু রিক্সাওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া দিলে তা শিক্ষার্থীর উপরই বর্তায়। কারণ ভাড়া তো নির্ধারিত।

তবে এ ব্যাপারে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্বীকার করে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আসলে বিশ্ববিদ্যালয় তো একটি উন্মুক্ত জায়গা। এখানে কোনটি ক্যাম্পাসের রিক্সা আর কোনটি বাইরের তা নির্ধারণ করা হয় নি। তাই এই ভাড়া কম-বেশি আদায় করার ব্যাপারটি হয়তো থেকে গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ২০২৩ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানের অফিসে গিয়ে রিকশাভাড়া কমানো সম্পর্কিত প্রস্তাবটি করেন।পরে প্রশাসন থেকে রিকশাভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।