ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৯৭ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের নেপথ্য সারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ সোমবার।
.
একাত্তরের অগ্নিঝড়া সময়ে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম হয়। তার নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় এই নাতির নাম রাখেন ‘জয়’। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মায়ের সঙ্গে বাবার কর্মস্থল জার্মানি হয়ে ভারতে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। তার শৈশব-কৈশোর কাটে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক পাস করেন জয়।
.
পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন তিনি। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন জয়। তাদের সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে দলীয় কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত না হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
.
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে সরকার গঠন করার পর থেকে আজ অবধি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন কর যাচ্ছেন।
.
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দলীয় রাজনীতিতে আসেন। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে বিভিন্ন জেলা সফর করেন। বর্তমানে তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন।
.
২০১৬ এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে দায়িত্বশীল পদপ্রাপ্তি নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা ভারি হয়ে থাকে। কিন্তু সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে নেপথ্য কারিগর হিসাবে নিজের সুনাম ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতার প্রতিচ্ছবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।
.
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন জয়। সেই থেকে জনগণের দোরগোঁড়ায় তথ্য-প্রযুক্তির সেবা হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে কখনো দেশে, কখনো বিদেশে অবস্থান করে কাজ করে যাচ্ছেন জয়। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
.
সরকারের পাশাপাশি দলীয় ঘরানা ছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আজ ও আগামীর প্রজন্মের বসবাসযোগ্য উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নেপথ্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
.
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়

Update Time : ০৫:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুলাই ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের নেপথ্য সারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ সোমবার।
.
একাত্তরের অগ্নিঝড়া সময়ে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকায় পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান জয়ের জন্ম হয়। তার নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রিয় এই নাতির নাম রাখেন ‘জয়’। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মায়ের সঙ্গে বাবার কর্মস্থল জার্মানি হয়ে ভারতে যান সজীব ওয়াজেদ জয়। তার শৈশব-কৈশোর কাটে ভারতে। নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক পাস করেন জয়।
.
পরবর্তী সময়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর অর্জন করেন তিনি। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওয়াজেদকে বিয়ে করেন জয়। তাদের সন্তানের নাম সোফিয়া ওয়াজেদ। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে দলীয় কার্যক্রমে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত না হলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
.
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে সরকার গঠন করার পর থেকে আজ অবধি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন কর যাচ্ছেন।
.
২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জয় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দলীয় রাজনীতিতে আসেন। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সরকারের নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে বিভিন্ন জেলা সফর করেন। বর্তমানে তার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন।
.
২০১৬ এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে দায়িত্বশীল পদপ্রাপ্তি নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা ভারি হয়ে থাকে। কিন্তু সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার পেছনে নেপথ্য কারিগর হিসাবে নিজের সুনাম ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতার প্রতিচ্ছবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।
.
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন জয়। সেই থেকে জনগণের দোরগোঁড়ায় তথ্য-প্রযুক্তির সেবা হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার অভিপ্রায়ে কখনো দেশে, কখনো বিদেশে অবস্থান করে কাজ করে যাচ্ছেন জয়। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
.
সরকারের পাশাপাশি দলীয় ঘরানা ছাড়া তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। আজ ও আগামীর প্রজন্মের বসবাসযোগ্য উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে নেপথ্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।
.