ট্রাম্প নির্বাচন করতে পারবেন কি না, রায় দেবেন আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৬৫ Time View

ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত থাকার সন্দেহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন তিনি। এরইমধ্যে দুই অঙ্গরাজ্যের আদালতের নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তা নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্র্রিম কোর্ট একটি ঐতিহাসিক শুনানি করবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে শুনানি হবে এবং শুনানি শেষে যে রায় দেয়া হবে, তা দেশব্যাপী প্রযোজ্য হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেখানকার রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালত এই আপিলের শুনানি করতে রাজি।

২০২১ সালে মার্কিন ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত থাকার সন্দেহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শুনানিও হচ্ছে। কিন্তু কোনো রায় হয়নি, ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হননি। এরই মধ্যে ওই ঘটনায় ট্রাম্পের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে মেইন ও কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পকে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রাম্প ওই দুই রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

এদিকে আগামী ৫ মার্চ কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া ট্রাম্পকে কলোরাডোয় অযোগ্য ঘোষণা করার পর ২৭টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা কলোরাডোর রায়টি প্রত্যাখ্যান করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে তারা বলেন, ট্রাম্পকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দিলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে।

মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কেউ যদি সহিংসতা করে কিংবা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তিনি সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। অন্যদিকে তাকে নির্বাচনে ঠেকাতেই রাজনৈতিক উদ্দেশে এসব বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প শিবিরের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ট্রাম্প নির্বাচন করতে পারবেন কি না, রায় দেবেন আদালত

Update Time : ০৩:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত থাকার সন্দেহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন তিনি। এরইমধ্যে দুই অঙ্গরাজ্যের আদালতের নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছেন সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তা নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্র্রিম কোর্ট একটি ঐতিহাসিক শুনানি করবে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে শুনানি হবে এবং শুনানি শেষে যে রায় দেয়া হবে, তা দেশব্যাপী প্রযোজ্য হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সেখানকার রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আদালত এই আপিলের শুনানি করতে রাজি।

২০২১ সালে মার্কিন ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় জড়িত থাকার সন্দেহে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, শুনানিও হচ্ছে। কিন্তু কোনো রায় হয়নি, ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হননি। এরই মধ্যে ওই ঘটনায় ট্রাম্পের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে মেইন ও কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পকে আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ট্রাম্প ওই দুই রাজ্যের আদালতের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন।

এদিকে আগামী ৫ মার্চ কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রাইমারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়া ট্রাম্পকে কলোরাডোয় অযোগ্য ঘোষণা করার পর ২৭টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা কলোরাডোর রায়টি প্রত্যাখ্যান করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে তারা বলেন, ট্রাম্পকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দিলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে।

মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কেউ যদি সহিংসতা করে কিংবা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তিনি সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এখনো প্রমাণিত হয়নি। অন্যদিকে তাকে নির্বাচনে ঠেকাতেই রাজনৈতিক উদ্দেশে এসব বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাম্প শিবিরের।