জামিন নয়, নর্থ সাউথের চার ট্রাস্ট্রিকে গ্রেফতারের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / ১৭৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের করা আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেছেন হাইকোর্ট।

শাহবাগ থানাকে এই আসামিদের এখনই গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের এই চার আসামিরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

রোববার (২২ মে) চার আসামির আগাম জামিনের আবেদনের ওপর তিন দিন শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

এর আগে জামিন আবেদনের বিষয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার শুনানি গ্রহণ করে আদালত।

আদালতে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল ও মিজান সাঈদ।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে করা এ মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডর ওই চার সদস্য ছাড়াও বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

জামিন নয়, নর্থ সাউথের চার ট্রাস্ট্রিকে গ্রেফতারের নির্দেশ

Update Time : ০৬:৩৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের করা আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেছেন হাইকোর্ট।

শাহবাগ থানাকে এই আসামিদের এখনই গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের এই চার আসামিরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

রোববার (২২ মে) চার আসামির আগাম জামিনের আবেদনের ওপর তিন দিন শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

এর আগে জামিন আবেদনের বিষয়ে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার শুনানি গ্রহণ করে আদালত।

আদালতে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল ও মিজান সাঈদ।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে করা এ মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডর ওই চার সদস্য ছাড়াও বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকে আসামি করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।