‘জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪৬ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির মেয়র কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এছাড়া কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরও শপথ পড়ান তিনি। একই সময়ে শপথ নেন দুই সিটির নির্বাচিত কাউন্সিলরাও।

গত ১০ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে তাহসীন বাহার সূচনা ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু। তিনি পান ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট।

এছাড়া ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দীন কায়সার ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট এবং হাতি প্রতীকের নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম পান ৫ হাজার ১৭৩ ভোট।

অন্যদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। এক লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি। হাতি প্রতীকে তিনি পান ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

‘জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না’

Update Time : ০১:০৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন। জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির মেয়র কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য জাতির পিতা প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে দশ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। তিনি সম্পন্ন করতে পারেননি। আমি সরকারে আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম। স্থানীয় লোক সেখানে জমি দেয়, আমরা ভবনের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখানে নিয়োগ দেই। ৩০ ধরনের ওষুধ আমরা বিনামূল্যে দিচ্ছি। আপনারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব দিকে নজর দেবেন যেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা। মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কিনা। মানুষ সেবা পাওয়াটাই বড় কথা।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এছাড়া কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরও শপথ পড়ান তিনি। একই সময়ে শপথ নেন দুই সিটির নির্বাচিত কাউন্সিলরাও।

গত ১০ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে তাহসীন বাহার সূচনা ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু। তিনি পান ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট।

এছাড়া ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দীন কায়সার ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট এবং হাতি প্রতীকের নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম পান ৫ হাজার ১৭৩ ভোট।

অন্যদিকে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। এক লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান মিল্কি। হাতি প্রতীকে তিনি পান ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট।