চীনে সমুদ্রের ওপর দিয়ে চলছে বুলেট ট্রেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০১ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রেল যোগাযোগে একের পর এক তাক লাগানো সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে চীন। এবার এমন এক দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন নিয়ে এসেছে দেশটি যা সমুদ্রের ওপর নির্মিত রেললাইন দিয়ে চলাচল করবে। এটাই সমুদ্রের ওপর নির্মিত চীনের প্রথম রেললাইন। খবর রয়টার্স।

নবনির্মিত এই রেললাইনটি ২৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি পূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের রাজধানী ফুঝোর সঙ্গে জিয়ামেন ও ঝাংঝো শহরের সংযোগ স্থাপন করেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে এই রেললাইন দিয়ে প্রথমবারের মতো বুলেট ট্রেন চলাচল করে। এই রেললাইন দিয়ে চলাচল করা বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি সাড়ে তিনশ কিলোমিটার।

চীনের রাষ্ট্রীয় রেল কোম্পানি চায়না রেলওয়ের নির্মিত এই রেলপথে মোট ৮৪টি সেতু ও ২৯টি টানেল রয়েছে। এই রেললাইনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সমুদ্রের ওপরে বানানো ২০ কিলোমিটারের রেলপথ।

২০১৬ সালে এই রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু করেছিল চায়না রেলওয়ে। সমুদ্রের ওপরে রেললাইন নির্মাণে পরিবেশবান্ধব ইস্পাত ব্যবহার করেছে চীন। এ ছাড়া বুদ্ধিমান রোবটও ব্যবহৃত হয়েছে।

নতুন এই রেলপথ নির্মাণের আরেকটি কারণ হলো তাইওয়ান ইস্যু। স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষায় ফুজিয়ান প্রদেশ কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ান প্রণালি ও ফুজিয়ান প্রদেশের মধ্যকার দূরত্ব মাত্র আড়াই মাইল।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। একসময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি। এ নিয়ে এক বছর ধরে চীন ও তাইওয়ানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে চীনা সেনারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চীনে সমুদ্রের ওপর দিয়ে চলছে বুলেট ট্রেন

Update Time : ০৪:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রেল যোগাযোগে একের পর এক তাক লাগানো সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে চীন। এবার এমন এক দ্রুতগতির বুলেট ট্রেন নিয়ে এসেছে দেশটি যা সমুদ্রের ওপর নির্মিত রেললাইন দিয়ে চলাচল করবে। এটাই সমুদ্রের ওপর নির্মিত চীনের প্রথম রেললাইন। খবর রয়টার্স।

নবনির্মিত এই রেললাইনটি ২৭৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি পূর্ব চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের রাজধানী ফুঝোর সঙ্গে জিয়ামেন ও ঝাংঝো শহরের সংযোগ স্থাপন করেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে এই রেললাইন দিয়ে প্রথমবারের মতো বুলেট ট্রেন চলাচল করে। এই রেললাইন দিয়ে চলাচল করা বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি সাড়ে তিনশ কিলোমিটার।

চীনের রাষ্ট্রীয় রেল কোম্পানি চায়না রেলওয়ের নির্মিত এই রেলপথে মোট ৮৪টি সেতু ও ২৯টি টানেল রয়েছে। এই রেললাইনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সমুদ্রের ওপরে বানানো ২০ কিলোমিটারের রেলপথ।

২০১৬ সালে এই রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু করেছিল চায়না রেলওয়ে। সমুদ্রের ওপরে রেললাইন নির্মাণে পরিবেশবান্ধব ইস্পাত ব্যবহার করেছে চীন। এ ছাড়া বুদ্ধিমান রোবটও ব্যবহৃত হয়েছে।

নতুন এই রেলপথ নির্মাণের আরেকটি কারণ হলো তাইওয়ান ইস্যু। স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে চীনের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষায় ফুজিয়ান প্রদেশ কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ান প্রণালি ও ফুজিয়ান প্রদেশের মধ্যকার দূরত্ব মাত্র আড়াই মাইল।

তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। একসময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি। এ নিয়ে এক বছর ধরে চীন ও তাইওয়ানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে চীনা সেনারা।