চীনে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১০, সরানো হলো ছয় লাখ মানুষকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৩৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের উত্তরাঞ্চলের হপেই প্রদেশে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে ১৮ জন।

ব্যাংকক পোস্ট ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের মধ্যে ভূমিধস এবং বন্যার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল থেকে প্রায় ছয় লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানে টাইফুন ডকসুরি, যার প্রভাবে রাজধানী বেইজিংয়ে ১৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোর মধ্যে বেইজিং একটি বলে জানা গেছে।

জনগণকে আসন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করতে রেড অ্যালার্ট (সতর্কতা) জারি করেছে চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

হপেই প্রদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, ধ্বংস হয়েছে জরুরি অবকাঠামো। ভেঙে পড়েছে যোগযোগ ব্যবস্থা। প্রদেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও জরুরি পরিষেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশপাশি চলছে উদ্ধার অভিযান।

এএফপির ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হপেই প্রদেশের বহু রাস্তাঘাট নদীতে রূপান্তরিত হয়েছে। আশেপাশের এলাকার কৃষিজমি পানিতে ডুবে গেছে। নৌকা ব্যবহার উদ্ধারকারীদের নুডুলস, রুটি এবং পানীয় জল পরিবহন করতে দেখা গেছে।

চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রক জানিয়েছে, শুধুমাত্র জুলাই মাসে, চরম আবহাওয়ার কারণে ১৪২ জন নাগরিক মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষ চরম আবহাওয়া এবং তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে।

বেইজিং-ভিত্তিক ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক মা জুন বলেন, গত বছর থেকে চীন নজিরবিহীন চরম তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে।

তার মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চীনে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ১০, সরানো হলো ছয় লাখ মানুষকে

Update Time : ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের উত্তরাঞ্চলের হপেই প্রদেশে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে ১৮ জন।

ব্যাংকক পোস্ট ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরের মধ্যে ভূমিধস এবং বন্যার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল থেকে প্রায় ছয় লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানে টাইফুন ডকসুরি, যার প্রভাবে রাজধানী বেইজিংয়ে ১৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোর মধ্যে বেইজিং একটি বলে জানা গেছে।

জনগণকে আসন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করতে রেড অ্যালার্ট (সতর্কতা) জারি করেছে চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

হপেই প্রদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর, ধ্বংস হয়েছে জরুরি অবকাঠামো। ভেঙে পড়েছে যোগযোগ ব্যবস্থা। প্রদেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও জরুরি পরিষেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশপাশি চলছে উদ্ধার অভিযান।

এএফপির ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হপেই প্রদেশের বহু রাস্তাঘাট নদীতে রূপান্তরিত হয়েছে। আশেপাশের এলাকার কৃষিজমি পানিতে ডুবে গেছে। নৌকা ব্যবহার উদ্ধারকারীদের নুডুলস, রুটি এবং পানীয় জল পরিবহন করতে দেখা গেছে।

চীনের জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রক জানিয়েছে, শুধুমাত্র জুলাই মাসে, চরম আবহাওয়ার কারণে ১৪২ জন নাগরিক মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষ চরম আবহাওয়া এবং তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে।

বেইজিং-ভিত্তিক ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক মা জুন বলেন, গত বছর থেকে চীন নজিরবিহীন চরম তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে।

তার মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে।