গাজায় হামলা চালিয়ে বন্দি মুক্তির চেষ্টা করলে ইসরাইলকে চড়ামূল্য দিতে হবে: হামাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১২০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজায় এখন নিরস্ত্র-নিরপরাধ নারী-শিশুদের ওপর বোমা ফেলার পাশাপাশি সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। আসলে গত ১৬ বছর ধরেই গাজার ওপর অবরোধ চলছে। ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটারের ছোট্ট এই ভূখণ্ডের প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবন এখন অতিষ্ঠ। তাদের আসলে হারানোর আর কিছু বাকি নেই। তারা নিজ ভূমিতে পরবাসী, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগারের বন্দী।

ইসরাইলি অবরোধ ও হামলার কারণে গাজায় স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়া বিপন্ন। আর ইসরাইলের পাশবিক তৎপরতায় সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো। এসব দেশ মুখে নারী অধিকার, শিশু অধিকার তথা মানবাধিকারের শ্লোগান দিলেও গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছে না। অতীতের মতো এবারও তারা ইসরাইলের পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। চোখ বন্ধ করে গাজার মানুষের উপর বোমা ফেলা হচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের হামলা চলাকালীন দখলদারদের সঙ্গে বন্দী মুক্তির ব্যাপারে কোনো আলোচনা হবে না। ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার রাতে এক রেকর্ড করা বার্তায় কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা এ ঘোষণা দেন। খবর- পার্সটুডে

তিনি বলেন, দখলদার ইসরাইল যদি গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে বন্দিদের মুক্ত করার চেষ্টা করে তাহলে ইসরাইলকে চড়ামূল্য দিতে হবে। এছাড়া, বন্দী বিনিময় করতে গেলেও তাদেরকে উচ্চমূল্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বন্দি মুক্তির বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসু বলে উল্লেখ করেন।

আবু উবায়দা জানান, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাকে বন্দি করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদেরকে গাজায় হামাসের ঘাঁটিগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেন, দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অসম সহসিকতা এবং দৃঢ় মনোবল নিয়ে অভিযান শুরু করেছে এবং এর পরিণতি কী হতে পারে সেটা জেনেই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো ঘটনার জন্য প্রস্তুত হামাস।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

গাজায় হামলা চালিয়ে বন্দি মুক্তির চেষ্টা করলে ইসরাইলকে চড়ামূল্য দিতে হবে: হামাস

Update Time : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজায় এখন নিরস্ত্র-নিরপরাধ নারী-শিশুদের ওপর বোমা ফেলার পাশাপাশি সেখানে পানি, বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। আসলে গত ১৬ বছর ধরেই গাজার ওপর অবরোধ চলছে। ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটারের ছোট্ট এই ভূখণ্ডের প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবন এখন অতিষ্ঠ। তাদের আসলে হারানোর আর কিছু বাকি নেই। তারা নিজ ভূমিতে পরবাসী, তারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগারের বন্দী।

ইসরাইলি অবরোধ ও হামলার কারণে গাজায় স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়া বিপন্ন। আর ইসরাইলের পাশবিক তৎপরতায় সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো। এসব দেশ মুখে নারী অধিকার, শিশু অধিকার তথা মানবাধিকারের শ্লোগান দিলেও গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছে না। অতীতের মতো এবারও তারা ইসরাইলের পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বেসামরিক নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। চোখ বন্ধ করে গাজার মানুষের উপর বোমা ফেলা হচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ইজাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের হামলা চলাকালীন দখলদারদের সঙ্গে বন্দী মুক্তির ব্যাপারে কোনো আলোচনা হবে না। ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার রাতে এক রেকর্ড করা বার্তায় কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা এ ঘোষণা দেন। খবর- পার্সটুডে

তিনি বলেন, দখলদার ইসরাইল যদি গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে বন্দিদের মুক্ত করার চেষ্টা করে তাহলে ইসরাইলকে চড়ামূল্য দিতে হবে। এছাড়া, বন্দী বিনিময় করতে গেলেও তাদেরকে উচ্চমূল্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বন্দি মুক্তির বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইসু বলে উল্লেখ করেন।

আবু উবায়দা জানান, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভেতরে বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনাকে বন্দি করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদেরকে গাজায় হামাসের ঘাঁটিগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র বলেন, দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধারা অসম সহসিকতা এবং দৃঢ় মনোবল নিয়ে অভিযান শুরু করেছে এবং এর পরিণতি কী হতে পারে সেটা জেনেই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো ঘটনার জন্য প্রস্তুত হামাস।