গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে মস্কোতে ১৮ দেশের ধর্মীয় নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮ Time View

 

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ‘আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় এবং শান্তি ও নিরাপত্তার প্রচারে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা’ শীর্ষক ১৯তম আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বর মস্কো কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে রুশ মুফতি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাবি আইনুদ্দিন, দি ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. আলি রাশিদ আল-নুওয়াইমি, দোহা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টারফেইথ ডায়ালগের চেয়ারম্যান ড. ইবরাহিম বিন সালেহ আল-নুওয়াইমি, মস্কোয় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ এরোল কালিজসহ ১৮টি দেশের ধর্মীয় আলেম ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশ নেন।

রুশ মুসলিমদের ধর্মীয় প্রশাসনের প্রধান রাবি আইনুদ্দিন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বে যা কিছু ঘটছে বিশ্বের মানুষ তা থেকে উদাসীন থাকতে পারে না। পুরো বিশ্ব জানে, কিভাবে ও কী উপায়ে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ভূমিতে সংঘাত শুরু হয়েছিল।

গত ৭৬ বছর ধরে চলমান এই সমস্যায় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বর্তমানে গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে। সেখানকার হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও গির্জাগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এমন সহিংসতা চলতে থাকলে নতুন করে সংঘাতের উত্থান ঘটবে।

মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা শুরু থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি ছিল এবং রয়ে গেছে। পবিত্র এই ভূমির ন্যায়সংগত ও ব্যাপক শান্তি ছাড়া এই অঞ্চলে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।’ তিনি জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সীমানার মধ্যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাশিয়ার অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
ধর্মের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মানুষকে দিকনির্দেশনা দিতে ধর্মের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক সময় ধর্মের অপব্যবহার করা হয়। ফলে ধর্ম এক সময় সংঘাত এমনকি যুদ্ধের প্রধান কারণে পরিণত হতে পারে। অনেকে বিশ্বাস করে যে অন্য ধর্মের অনুসারীদের তাদের মতো একই অধিকার নেই। তবে বিভিন্ন ধর্ম মানুষকে একত্রিত করতে পারে। মুসলিম ও অমুসলিমরা বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করেছে।

কারণ তখন মানুষ ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলত। অথচ এখন ফিলিস্তিনসহ অনেক স্থানে মুসলিমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে না। বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার অবসান এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীল উন্নয়ন জরুরি।’

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Please Share This Post in Your Social Media

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বানে মস্কোতে ১৮ দেশের ধর্মীয় নেতারা

Update Time : ১২:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

 

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ‘আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষায় এবং শান্তি ও নিরাপত্তার প্রচারে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা’ শীর্ষক ১৯তম আন্তর্জাতিক ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১০ থেকে ১৩ ডিসেম্বর মস্কো কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে রুশ মুফতি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাবি আইনুদ্দিন, দি ওয়ার্ল্ড মুসলিম কমিউনিটিস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. আলি রাশিদ আল-নুওয়াইমি, দোহা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টারফেইথ ডায়ালগের চেয়ারম্যান ড. ইবরাহিম বিন সালেহ আল-নুওয়াইমি, মস্কোয় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ এরোল কালিজসহ ১৮টি দেশের ধর্মীয় আলেম ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশ নেন।

রুশ মুসলিমদের ধর্মীয় প্রশাসনের প্রধান রাবি আইনুদ্দিন বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বে যা কিছু ঘটছে বিশ্বের মানুষ তা থেকে উদাসীন থাকতে পারে না। পুরো বিশ্ব জানে, কিভাবে ও কী উপায়ে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক ভূমিতে সংঘাত শুরু হয়েছিল।

গত ৭৬ বছর ধরে চলমান এই সমস্যায় লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বর্তমানে গাজা উপত্যকায় হাজার হাজার শিশু, নারী ও বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে। সেখানকার হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও গির্জাগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এমন সহিংসতা চলতে থাকলে নতুন করে সংঘাতের উত্থান ঘটবে।

মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা শুরু থেকেই বিশ্বের সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি ছিল এবং রয়ে গেছে। পবিত্র এই ভূমির ন্যায়সংগত ও ব্যাপক শান্তি ছাড়া এই অঞ্চলে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।’ তিনি জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সীমানার মধ্যে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাশিয়ার অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।
ধর্মের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মানুষকে দিকনির্দেশনা দিতে ধর্মের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক সময় ধর্মের অপব্যবহার করা হয়। ফলে ধর্ম এক সময় সংঘাত এমনকি যুদ্ধের প্রধান কারণে পরিণত হতে পারে। অনেকে বিশ্বাস করে যে অন্য ধর্মের অনুসারীদের তাদের মতো একই অধিকার নেই। তবে বিভিন্ন ধর্ম মানুষকে একত্রিত করতে পারে। মুসলিম ও অমুসলিমরা বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত একসঙ্গে শান্তিতে বসবাস করেছে।

কারণ তখন মানুষ ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলত। অথচ এখন ফিলিস্তিনসহ অনেক স্থানে মুসলিমরা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে না। বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার অবসান এবং সেখানে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীল উন্নয়ন জরুরি।’

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি