গাইবান্ধার কামারজানিতে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৫৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫১ Time View
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নের শত শত একর জমির রোপা আমন সহ বীজ তলা ও শাক সবজি পানির নিচে নিমজ্জিত। ফলে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। কৃষক কূল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখনো বহু বাড়ী ঘর পানিতে নিমজ্জিত।
.
বন্যায় প্লাবিত ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পতিত কুন্দেরপাড়ার, খারজানি, বাটিকামারী, পাড়দিয়ারা, রায়দাস বাড়ী, নুন গোলা, খামার কামারজানি ও কড়াইবাড়ী এলাকার হাজার হাজার মানুষ রাস্তা ঘাটে ও অন্যের বাড়ি ঠাঁই নিয়ে গৃহপালিত পশু সহ একত্রে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পতিত অসহায় মানুষ গুলোকে অভাবের হিংস্র হাত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। বন্যায় তাদের দূর্ভোগের দৃশ্যগুলো সত্যিই খুবই হৃদয়বিদারক।
.
গাইবান্ধার কামারজানি ইউনিয়ন এর গোঘাট এলাকায় বন্যাদুর্গত অসহায় কিছু পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্হানীয় এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থী।তাদের মধ্যে শাহারিয়ার বেলাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রিয়াদ হাসান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শামীম আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা করেন এবং আরও অনেকেই ছিলেন।
.
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন কামারজানি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফারুকুল ইসলাম ফারুক। উক্ত ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, সয়াবিন তৈল এবং সবজি।
.
ত্রাণ বিতরণ শেষে প্রধান শিক্ষক তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি বন্যার প্রকোপে এই অঞ্চলের মানুষদের যে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। তাদের পাশে দাড়ানোর মতো কেউ নেই। এরকম পরিস্হিতিতে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীদের।
.
এছাড়াও বলেন শিক্ষানবিশ চলাকালীন সময়ে তাদের এরকম মহৎ উদ্যোগ খুবই ভালো এবং সম্মানের। এটি তাদের মনুষত্যবোধ সৃষ্টির পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমীকা পালন করবে।
.
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহারিয়ার বেলাল জানান, বন্যা দূর্গত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সবাই গর্বিত। তাদের জন্য আমাদের এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। যদিও বা আমরা তাদের জন্য খুব বেশি পরিসরে কিছু করতে পারিনি। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। তাদের মুখে যদি সামান্য হাসি ফুটাতে পারি এটাই আমাদের সার্থকতা। ইনশাল্লাহ আগামীতে আমরা এ ধারা যেনো অব্যাহত রেখে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি এজন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

গাইবান্ধার কামারজানিতে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

Update Time : ০৬:৫৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ইউনিয়নের শত শত একর জমির রোপা আমন সহ বীজ তলা ও শাক সবজি পানির নিচে নিমজ্জিত। ফলে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। কৃষক কূল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখনো বহু বাড়ী ঘর পানিতে নিমজ্জিত।
.
বন্যায় প্লাবিত ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পতিত কুন্দেরপাড়ার, খারজানি, বাটিকামারী, পাড়দিয়ারা, রায়দাস বাড়ী, নুন গোলা, খামার কামারজানি ও কড়াইবাড়ী এলাকার হাজার হাজার মানুষ রাস্তা ঘাটে ও অন্যের বাড়ি ঠাঁই নিয়ে গৃহপালিত পশু সহ একত্রে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও নদী ভাঙ্গনের কবলে পতিত অসহায় মানুষ গুলোকে অভাবের হিংস্র হাত তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। বন্যায় তাদের দূর্ভোগের দৃশ্যগুলো সত্যিই খুবই হৃদয়বিদারক।
.
গাইবান্ধার কামারজানি ইউনিয়ন এর গোঘাট এলাকায় বন্যাদুর্গত অসহায় কিছু পরিবারকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন স্হানীয় এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থী।তাদের মধ্যে শাহারিয়ার বেলাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, রিয়াদ হাসান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শামীম আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা করেন এবং আরও অনেকেই ছিলেন।
.
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন কামারজানি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফারুকুল ইসলাম ফারুক। উক্ত ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, সয়াবিন তৈল এবং সবজি।
.
ত্রাণ বিতরণ শেষে প্রধান শিক্ষক তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি বন্যার প্রকোপে এই অঞ্চলের মানুষদের যে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। তাদের পাশে দাড়ানোর মতো কেউ নেই। এরকম পরিস্হিতিতে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানান শিক্ষার্থীদের।
.
এছাড়াও বলেন শিক্ষানবিশ চলাকালীন সময়ে তাদের এরকম মহৎ উদ্যোগ খুবই ভালো এবং সম্মানের। এটি তাদের মনুষত্যবোধ সৃষ্টির পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমীকা পালন করবে।
.
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহারিয়ার বেলাল জানান, বন্যা দূর্গত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা সবাই গর্বিত। তাদের জন্য আমাদের এটি একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। যদিও বা আমরা তাদের জন্য খুব বেশি পরিসরে কিছু করতে পারিনি। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। তাদের মুখে যদি সামান্য হাসি ফুটাতে পারি এটাই আমাদের সার্থকতা। ইনশাল্লাহ আগামীতে আমরা এ ধারা যেনো অব্যাহত রেখে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি এজন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।