ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না রাশিয়ার তেল বিক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ১৪৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়াকে শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা আরো কয়েকটি দেশ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং তেলজাত পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে- এমন আশঙ্কায় রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি এড়িয়ে চলছে বহু দেশ।

যে কারণে তেল বিক্রির জন্য রুশ ব্যবসায়ীরা ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে এনার্জি এনালাইসিস ফার্ম ভোরটেক্সা।

ইউরোপীয় কমিশনও রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। ফলে রাশিয়ার লাখ লাখ ব্যারেল তেল অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল বিখ্যাত ‘ইউরালস ক্রুড অয়েল’ নিয়ে সমুদ্রে ভেসে আছে রাশিয়ার কয়েকটি জাহাজ। চরম বিপাকে পড়েছেন রুশ ব্যবসায়ীরা।

ভোরটেক্সা জানায়, যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় সমুদ্রে রাশিয়ার এই অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ গড়ে তিনগুণ বেড়ে গেছে।

এমনকি, রাশিয়ার সমুদ্রজাত তেল রপ্তানি এই মাসে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৬৭ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে। বিক্রি গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম। ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৭৯ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হতো।

গণমাধ্যমে রাশিয়ার যে পরিমাণ তেল রপ্তানির হওয়া কথা বলা হচ্ছে, তাতে দেশটির তেল রপ্তানি পরিস্থিতি এখনো তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী মনে হচ্ছে। কিন্তু পুরো গল্পটাই ভিন্ন বলে মনে করেন হস্টন ভিত্তিক জ্বালানি বিশ্লেষক ক্লে সিগল।

তিনি বলেন, ‘সমুদ্রে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ তেল জমে যাচ্ছে।’

বর্তমানে দেশটির ১৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলের সমুদ্রে জমা হচ্ছে। যেগুলোর কোনো গন্তব্য নেই। যা একটি নতুন রেকর্ড বলে জানান সিগল।

তিনি বলেন, কিছু তেল অবশ্য অজ্ঞাত ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, তবে অনেক তেল অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে রাশিয়ার বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেল আসছে এশিয়াতেই। বিশেষত ভারত এবং চীনে। যদিও এখনো ইউরোপেও যাচ্ছে রাশিয়ার তেলের একটি বড় অংশ। তবে দিনকে দিন সাগরে জমে যাওয়া ওই তেল নিয়ে সত্যিই বিপাকে রুশ ব্যবসায়ীরা। সূত্র- রয়টার্স।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছে না রাশিয়ার তেল বিক্রেতারা

Update Time : ১০:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়াকে শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা আরো কয়েকটি দেশ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং তেলজাত পণ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে- এমন আশঙ্কায় রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি এড়িয়ে চলছে বহু দেশ।

যে কারণে তেল বিক্রির জন্য রুশ ব্যবসায়ীরা ক্রেতা খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে এনার্জি এনালাইসিস ফার্ম ভোরটেক্সা।

ইউরোপীয় কমিশনও রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছে। ফলে রাশিয়ার লাখ লাখ ব্যারেল তেল অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল বিখ্যাত ‘ইউরালস ক্রুড অয়েল’ নিয়ে সমুদ্রে ভেসে আছে রাশিয়ার কয়েকটি জাহাজ। চরম বিপাকে পড়েছেন রুশ ব্যবসায়ীরা।

ভোরটেক্সা জানায়, যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় সমুদ্রে রাশিয়ার এই অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ গড়ে তিনগুণ বেড়ে গেছে।

এমনকি, রাশিয়ার সমুদ্রজাত তেল রপ্তানি এই মাসে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৬৭ লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে। বিক্রি গত ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম। ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৭৯ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হতো।

গণমাধ্যমে রাশিয়ার যে পরিমাণ তেল রপ্তানির হওয়া কথা বলা হচ্ছে, তাতে দেশটির তেল রপ্তানি পরিস্থিতি এখনো তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী মনে হচ্ছে। কিন্তু পুরো গল্পটাই ভিন্ন বলে মনে করেন হস্টন ভিত্তিক জ্বালানি বিশ্লেষক ক্লে সিগল।

তিনি বলেন, ‘সমুদ্রে রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ তেল জমে যাচ্ছে।’

বর্তমানে দেশটির ১৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেলের সমুদ্রে জমা হচ্ছে। যেগুলোর কোনো গন্তব্য নেই। যা একটি নতুন রেকর্ড বলে জানান সিগল।

তিনি বলেন, কিছু তেল অবশ্য অজ্ঞাত ক্রেতাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, তবে অনেক তেল অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, বর্তমানে রাশিয়ার বেশিরভাগ অপরিশোধিত তেল আসছে এশিয়াতেই। বিশেষত ভারত এবং চীনে। যদিও এখনো ইউরোপেও যাচ্ছে রাশিয়ার তেলের একটি বড় অংশ। তবে দিনকে দিন সাগরে জমে যাওয়া ওই তেল নিয়ে সত্যিই বিপাকে রুশ ব্যবসায়ীরা। সূত্র- রয়টার্স।