কেনো বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন জাস্টিন ও সোফি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১২৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি ১৮ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। দুজনের মধ্যে মধ্যে ‘অর্থবহ এবং কঠিন আলাপ-আলোচনার’ পর তারা এই ঘোষণা দিলেন।

বুধবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা ‘একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতো থাকবেন, যার ভিত্তি হবে ভালোবাসা ও সম্মান’।

২০০৫ সালে তারা মন্ট্রিয়লে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

ট্রুডোর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই দম্পতি বিচ্ছেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাদের এখনো জনসমক্ষে একসাথে দেখা যাবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিচ্ছেদের জন্য যেসব আইনি এবং নৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেগুলো নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। এবং সেগুলো চলমান রেখে তারা এগিয়ে যাবেন।

সেখানে আরও বলা হয়, আগামী সপ্তাহে তারা পরিবার হিসেবে ছুটি কাটাতে যাবেন।

এই দম্পতি তাদের তিন সন্তানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তাদের তিন সন্তান হচ্ছে জেভিয়ার (১৫), এলা গ্রেইস (১৪) এবং হার্ডিন (৯)।

৫১ বছর বয়সী ট্রুডো এবং ৪৮ বছর বয়সী সোফি গ্রেগরি ট্রুডোকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একত্রে খুব কম গেছে। রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক এবং গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্যানাডায় স্বাগত জানানোর সময় তাদেরকে একসাথে দেখা যায়।

২০১৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন এই দম্পতি ভোগ ম্যাগাজিনে একসাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

সে সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেছিলেন, সোফি প্রেগরির সাথে তিনি যখন প্রথম দেখা করেছিলেন তখন বলেছিলেন, ‘আমার বয়স ৩১ বছর, এবং আমি ৩১ বছর যাবত তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’

২০২২ সালে তাদের বিয়ে বার্ষিকীতে ট্রুডো ইন্সটাগ্রামে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিখেছিলেন।

‘আমরা রৌদ্রজ্জ্বল দিনের ভেতর দিয়ে যেমন গিয়েছি, ঝড়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছি এবং দুটোর মাঝখান দিয়েও গিয়েছি,’ ইনস্টাগ্রামের সেই পোস্টে লিখেছিলেন ট্রুডো।

ট্রুডো ২০১৪ সালে প্রকাশিত তার আত্মজীবনীতে বৈবাহিক জীবনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিখেছেন।

‘আমাদের বিয়ে পুরোপুরি ঠিক ছিল না। আমরা নানা রকম উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গেছি। তারপরেও সোফি আমরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে আছে, আমরা পার্টনার এবং আমার ভালোবাসা। আঘাত আসলেও আমরা একজন আরেকজনের প্রতি সৎ থেকেছি,’ আত্মজীবনীতে লিখেছেন ট্রুডো।

২০০৩ সালে দুজন প্রথম দেখা করা শুরু করেন। সোফি তখন ছিলেন একজন টিভি প্রেজেন্টার। তিনি তখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চ্যারিটিও করতেন।

জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন ক্যানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।

ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। ছয় বছর একসাথে থাকার পর ১৯৯৯ সালে পিয়েরে ট্রুডো এবং মার্গারিট ট্রুডো বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কেনো বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন জাস্টিন ও সোফি?

Update Time : ১১:২২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি ১৮ বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। দুজনের মধ্যে মধ্যে ‘অর্থবহ এবং কঠিন আলাপ-আলোচনার’ পর তারা এই ঘোষণা দিলেন।

বুধবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই দম্পতি জানিয়েছেন, তারা ‘একটি ঘনিষ্ঠ পরিবারের মতো থাকবেন, যার ভিত্তি হবে ভালোবাসা ও সম্মান’।

২০০৫ সালে তারা মন্ট্রিয়লে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

ট্রুডোর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই দম্পতি বিচ্ছেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তাদের এখনো জনসমক্ষে একসাথে দেখা যাবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিচ্ছেদের জন্য যেসব আইনি এবং নৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, সেগুলো নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। এবং সেগুলো চলমান রেখে তারা এগিয়ে যাবেন।

সেখানে আরও বলা হয়, আগামী সপ্তাহে তারা পরিবার হিসেবে ছুটি কাটাতে যাবেন।

এই দম্পতি তাদের তিন সন্তানের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তাদের তিন সন্তান হচ্ছে জেভিয়ার (১৫), এলা গ্রেইস (১৪) এবং হার্ডিন (৯)।

৫১ বছর বয়সী ট্রুডো এবং ৪৮ বছর বয়সী সোফি গ্রেগরি ট্রুডোকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একত্রে খুব কম গেছে। রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক এবং গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্যানাডায় স্বাগত জানানোর সময় তাদেরকে একসাথে দেখা যায়।

২০১৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন এই দম্পতি ভোগ ম্যাগাজিনে একসাথে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

সে সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেছিলেন, সোফি প্রেগরির সাথে তিনি যখন প্রথম দেখা করেছিলেন তখন বলেছিলেন, ‘আমার বয়স ৩১ বছর, এবং আমি ৩১ বছর যাবত তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।’

২০২২ সালে তাদের বিয়ে বার্ষিকীতে ট্রুডো ইন্সটাগ্রামে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিখেছিলেন।

‘আমরা রৌদ্রজ্জ্বল দিনের ভেতর দিয়ে যেমন গিয়েছি, ঝড়ের ভেতর দিয়ে গিয়েছি এবং দুটোর মাঝখান দিয়েও গিয়েছি,’ ইনস্টাগ্রামের সেই পোস্টে লিখেছিলেন ট্রুডো।

ট্রুডো ২০১৪ সালে প্রকাশিত তার আত্মজীবনীতে বৈবাহিক জীবনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে লিখেছেন।

‘আমাদের বিয়ে পুরোপুরি ঠিক ছিল না। আমরা নানা রকম উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গেছি। তারপরেও সোফি আমরা সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে আছে, আমরা পার্টনার এবং আমার ভালোবাসা। আঘাত আসলেও আমরা একজন আরেকজনের প্রতি সৎ থেকেছি,’ আত্মজীবনীতে লিখেছেন ট্রুডো।

২০০৩ সালে দুজন প্রথম দেখা করা শুরু করেন। সোফি তখন ছিলেন একজন টিভি প্রেজেন্টার। তিনি তখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চ্যারিটিও করতেন।

জাস্টিন ট্রুডো হচ্ছেন ক্যানাডার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন।

ক্ষমতায় থাকাকালীন বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো। ছয় বছর একসাথে থাকার পর ১৯৯৯ সালে পিয়েরে ট্রুডো এবং মার্গারিট ট্রুডো বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন।