কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গল্প আড্ডায় ইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২
  • / ১৭৫ Time View

সাঈদ হাসান, কুবিঃ

রোজার মাসে ইফতারই যেন লাল মাটির ক্যাম্পাসে আড্ডার মূল উপলক্ষ হয়ে ওঠেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইফতার আয়োজনে আড়ম্বর না থাকলেও এ নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কিন্তু কমতি নেই। দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া, হলগুলোতেও প্রাণের আড্ডা জমে ওঠে রমজানে ইফতারকে ঘিরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হলে কিংবা ক্যাম্পাসে যেখানেই ইফতার আয়োজন হোক না কেন, ইফতারির খাবারদাবার কিন্তু আহামরি কিছু নয়। ছোলা, মুড়ি, চপ, বেগুনি, বুন্দিয়া, জিলাপি, খেজুর প্রভৃতি গতানুগতিক খাবারই থাকে বেশির ভাগ সময়েই। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আড্ডায় এসব খাবারই যেন অমৃত মনে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমদাদুল ইসলাম বলেন আমাদের সাথে প্রায় সময় অন্য ধর্মাবলম্বীরা ও ইফতার করে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে না পারার দুঃখ অনেকটাই ঘুচে যায় বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ক্যাম্পাস জীবনে এটা আমার প্রথম এবং শেষ রমজান। কিছুদিন পর আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবো। তখন ক্যাম্পাসে একসাথে ইফতার করা আড্ডা দেওয়ার সময় গুলো মিস করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, পড়াশোনার সুবাদে এর আগেও বেশ কয়েকটি রমজান বাড়ির বাইরে কাটিয়েছি। এবার রমজানে ক্লাস চলছে। ইফতার করতে বসে ঐ সময়টাতে ক্লাসের নোট নিয়ে গ্রুপ স্টাড়িও করে ফেলি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গল্প আড্ডায় ইফতার

Update Time : ০৭:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০২২

সাঈদ হাসান, কুবিঃ

রোজার মাসে ইফতারই যেন লাল মাটির ক্যাম্পাসে আড্ডার মূল উপলক্ষ হয়ে ওঠেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইফতার আয়োজনে আড়ম্বর না থাকলেও এ নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কিন্তু কমতি নেই। দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া, হলগুলোতেও প্রাণের আড্ডা জমে ওঠে রমজানে ইফতারকে ঘিরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হলে কিংবা ক্যাম্পাসে যেখানেই ইফতার আয়োজন হোক না কেন, ইফতারির খাবারদাবার কিন্তু আহামরি কিছু নয়। ছোলা, মুড়ি, চপ, বেগুনি, বুন্দিয়া, জিলাপি, খেজুর প্রভৃতি গতানুগতিক খাবারই থাকে বেশির ভাগ সময়েই। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আড্ডায় এসব খাবারই যেন অমৃত মনে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমদাদুল ইসলাম বলেন আমাদের সাথে প্রায় সময় অন্য ধর্মাবলম্বীরা ও ইফতার করে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে না পারার দুঃখ অনেকটাই ঘুচে যায় বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ক্যাম্পাস জীবনে এটা আমার প্রথম এবং শেষ রমজান। কিছুদিন পর আমরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাবো। তখন ক্যাম্পাসে একসাথে ইফতার করা আড্ডা দেওয়ার সময় গুলো মিস করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, পড়াশোনার সুবাদে এর আগেও বেশ কয়েকটি রমজান বাড়ির বাইরে কাটিয়েছি। এবার রমজানে ক্লাস চলছে। ইফতার করতে বসে ঐ সময়টাতে ক্লাসের নোট নিয়ে গ্রুপ স্টাড়িও করে ফেলি।