কালবৈশাখী ঝড়ে নোয়াখালীতে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / ১৩৫ Time View

জেলা প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বইয়ে গেছে। এতে কয়েকটি স্থানে গাছ-পালা ও অন্তত অর্ধশত কাঁচা ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ায় জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়নি।

জানা গেছে, সকালে হঠাৎ করে বজ্রসহ প্রচন্ড ভেগে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। কালবৈশাখী ঝড়ে হাতিয়ার জাহাজমারা, নলচিরা ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া, চরকলমি, সদর, সুবর্ণচর উপকূল ও কবিরহাট’সহ জেলার কয়েকটি স্থানে অনেকগুলো গাছ ভেঙে পড়ে। নলচিরা, জাহাজমারা, চরএলাহী, চরবালুয়া ও চরকলমি গ্রামে বির্ধ্বস্ত হয় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি এবং দোকানপাট।

নলচিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শরিফ জানান, তুপানিয়া গ্রামে বেঁড়ির ওপরে বসবাস করা ৫টি ও বেঁড়ির ভিতরে গাছ পড়ে আরও ৫টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। বসতঘরগুলোর চালা ও বেড়া বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। তবে ঘরের মধ্যে কেউ না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এসব ঘরবাড়ীর মালিককে ৫হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জাহাজমারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা আমিনুল ইসলাম রাসেল জানান, সকালের ঝড়ে তাদের বাড়ির সামনের কাচারি ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া আরও ৯টির কাঁচা ঘরবাড়িও বিধ্বস্ত হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেকটি গাছ পালা ভেঙে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, সকালে হঠাৎ ঝড়ে চরবালুয়া, চরকলমি গ্রামের অন্তত ২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে উপজেলায় জমা দেওয়া হবে।

হাতিয়া উপজেলা সহাকারি কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কথা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। তালিকার ভিত্তিতে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কালবৈশাখী ঝড়ে নোয়াখালীতে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

Update Time : ০৮:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

জেলা প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বইয়ে গেছে। এতে কয়েকটি স্থানে গাছ-পালা ও অন্তত অর্ধশত কাঁচা ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ায় জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়নি।

জানা গেছে, সকালে হঠাৎ করে বজ্রসহ প্রচন্ড ভেগে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। কালবৈশাখী ঝড়ে হাতিয়ার জাহাজমারা, নলচিরা ইউনিয়ন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া, চরকলমি, সদর, সুবর্ণচর উপকূল ও কবিরহাট’সহ জেলার কয়েকটি স্থানে অনেকগুলো গাছ ভেঙে পড়ে। নলচিরা, জাহাজমারা, চরএলাহী, চরবালুয়া ও চরকলমি গ্রামে বির্ধ্বস্ত হয় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি এবং দোকানপাট।

নলচিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শরিফ জানান, তুপানিয়া গ্রামে বেঁড়ির ওপরে বসবাস করা ৫টি ও বেঁড়ির ভিতরে গাছ পড়ে আরও ৫টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। বসতঘরগুলোর চালা ও বেড়া বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। তবে ঘরের মধ্যে কেউ না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এসব ঘরবাড়ীর মালিককে ৫হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পুর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জাহাজমারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা আমিনুল ইসলাম রাসেল জানান, সকালের ঝড়ে তাদের বাড়ির সামনের কাচারি ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া আরও ৯টির কাঁচা ঘরবাড়িও বিধ্বস্ত হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেকটি গাছ পালা ভেঙে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, সকালে হঠাৎ ঝড়ে চরবালুয়া, চরকলমি গ্রামের অন্তত ২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে উপজেলায় জমা দেওয়া হবে।

হাতিয়া উপজেলা সহাকারি কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কথা শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। তালিকার ভিত্তিতে তাদের সহযোগিতা করা হবে।