করোনা ট্রেসিং অ্যাপ ছাড়া আমিরাতের মসজিদে ঢুকা নিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • / ১৩২ Time View
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার থেকে পুনরায় খুলে দেয়া হচ্ছে মসজিদ। মুসল্লিদের জন্য দেশটির সরকার ‘কঠোর নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মসজিদে প্রবেশের আগে সবাইকে অবশ্যই সরকারি করোনা ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
.

আমিরাতের এই অ্যাপ দেশটির স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গুগল প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমেই সেখানকার সাধারণ মানুষ করোনা সংক্রান্ত সব সেবা পাচ্ছেন। কারো কভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হলে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। ফলাফলও অ্যাপে পাওয়া যায়।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন মসজিদে ধারণ ক্ষমতার ৩০ শতাংশ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জুম্মার নামাজ বন্ধ থাকবে। অসুস্থ বয়স্ক নাগরিক এবং ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে মসজিদে প্রবেশের বিষয়ে একটি গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে-মাস্ক বাধ্যতামূলক। এক ব্যক্তির সঙ্গে অপর ব্যক্তির সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে ৩ মিটার। ভিড় এড়াতে হবে। বাড়ি থেকে ওজু করে আসতে হবে। জায়নামাজ নিজেকেই আনতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় মসজিদে রেখে যাওয়া যাবে না। পবিত্র কুরআন পড়তে হবে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে। সেটা বাড়ি থেকে আনতে হবে। সরাসরি কুরআন নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে কোনো মসজিদ থেকে নতুন সংক্রমণের খবর আসলেই আবার বন্ধ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

করোনা ট্রেসিং অ্যাপ ছাড়া আমিরাতের মসজিদে ঢুকা নিষেধ

Update Time : ০৭:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার থেকে পুনরায় খুলে দেয়া হচ্ছে মসজিদ। মুসল্লিদের জন্য দেশটির সরকার ‘কঠোর নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মসজিদে প্রবেশের আগে সবাইকে অবশ্যই সরকারি করোনা ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
.

আমিরাতের এই অ্যাপ দেশটির স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গুগল প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমেই সেখানকার সাধারণ মানুষ করোনা সংক্রান্ত সব সেবা পাচ্ছেন। কারো কভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হলে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। ফলাফলও অ্যাপে পাওয়া যায়।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন মসজিদে ধারণ ক্ষমতার ৩০ শতাংশ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জুম্মার নামাজ বন্ধ থাকবে। অসুস্থ বয়স্ক নাগরিক এবং ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে মসজিদে প্রবেশের বিষয়ে একটি গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে-মাস্ক বাধ্যতামূলক। এক ব্যক্তির সঙ্গে অপর ব্যক্তির সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে ৩ মিটার। ভিড় এড়াতে হবে। বাড়ি থেকে ওজু করে আসতে হবে। জায়নামাজ নিজেকেই আনতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় মসজিদে রেখে যাওয়া যাবে না। পবিত্র কুরআন পড়তে হবে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে। সেটা বাড়ি থেকে আনতে হবে। সরাসরি কুরআন নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে কোনো মসজিদ থেকে নতুন সংক্রমণের খবর আসলেই আবার বন্ধ করা হবে।