করোনার সাড়ে পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বিশ্রাম নেননি : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০
  • / ১১৮ Time View

তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, করোনা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর গত সাড়ে পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বিশ্রাম নেননি। করোনা মোকাবেলায় তিনি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয়।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে করোনা পরিস্থিতিতে সিলেট বিভাগের চার জেলার সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ১০৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে প্রণোদনার চেক বিতরণ করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেছিল করোনার সময়ে দেশে হাজার হাজার মানুষ মরে যাবে। বলা হয়েছিল রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- একজন মানুষও অনাহারে মরেনি। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে যে কটি দেশে সবচেয়ে কম তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ থেকে ১.৩ শতাংশ। যা ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম।

হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই স্তম্ভ তৈরি করেন সাংবাদিকরা। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছে। এই করোনাকালেও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। আমরা দলমত নির্বিশেষে যারা সঙ্কটে আছেন তাদেরকে প্রণোদনা দিচ্ছি। ভারত-পাকিস্তানেও সাংবাদিকদের এভাবে সরকার প্রণোদনা দেয়নি।

করোনাকালে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া করোনা সঙ্কটকালে গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। সমালোচনা থাকবে। না হলে বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার মনে করে সমালোচনা চলার পথ শাণিত করে। কিন্তু সমালোচনা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য। অন্ধের মতো একপেশে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দেশকে একদা তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিলো, সেই দেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে এখন কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ পাওয়া যায় না, স্যান্ডেল ছাড়া মানুষ পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। দেশ বদলে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল। আজকেও যারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই দুষ্টচক্র যারা দেশের বিরুদ্ধে, অর্থনীতির বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিনিয়র সাংবাদিক তাপস দাশ পুরকায়স্থ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিলেট তথ্য অফিসের উপপরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

করোনার সাড়ে পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বিশ্রাম নেননি : তথ্যমন্ত্রী

Update Time : ০২:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, করোনা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর গত সাড়ে পাঁচ মাসে প্রধানমন্ত্রী একদিনও বিশ্রাম নেননি। করোনা মোকাবেলায় তিনি যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন তা অতুলনীয়।

বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে করোনা পরিস্থিতিতে সিলেট বিভাগের চার জেলার সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের ১০৩ জন সাংবাদিকের মধ্যে প্রণোদনার চেক বিতরণ করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেছিল করোনার সময়ে দেশে হাজার হাজার মানুষ মরে যাবে। বলা হয়েছিল রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- একজন মানুষও অনাহারে মরেনি। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে যে কটি দেশে সবচেয়ে কম তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ থেকে ১.৩ শতাংশ। যা ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম।

হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এই স্তম্ভ তৈরি করেন সাংবাদিকরা। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করছে। এই করোনাকালেও সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। আমরা দলমত নির্বিশেষে যারা সঙ্কটে আছেন তাদেরকে প্রণোদনা দিচ্ছি। ভারত-পাকিস্তানেও সাংবাদিকদের এভাবে সরকার প্রণোদনা দেয়নি।

করোনাকালে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া করোনা সঙ্কটকালে গণমাধ্যম সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। সমালোচনা থাকবে। না হলে বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। সরকার মনে করে সমালোচনা চলার পথ শাণিত করে। কিন্তু সমালোচনা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ। সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য। অন্ধের মতো একপেশে সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দেশকে একদা তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিলো, সেই দেশ বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে এখন কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায় না। ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ পাওয়া যায় না, স্যান্ডেল ছাড়া মানুষ পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। দেশ বদলে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তারা ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছিল। আজকেও যারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা ষড়যন্ত্র করছে। এই দুষ্টচক্র যারা দেশের বিরুদ্ধে, অর্থনীতির বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিনিয়র সাংবাদিক তাপস দাশ পুরকায়স্থ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিলেট তথ্য অফিসের উপপরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি।