এবার জামিনে মুক্ত সম্রাটের সহযোগী খালেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:১৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৬০ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় খালেদকে জামিন দেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন। এতে খালেদের বিরুদ্ধে থাকা সাত মামলাতেই জামিন পাওয়ায় কারামুক্ত হন তিনি।

তবে অসুস্থ থাকায় কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদ। রাতে জামিনে মুক্তি পেলেও হাসপাতালেই থাকেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, “সবগুলো মামলাতে জামিন পেয়েছেন খালেদ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে তিনি মুক্তি পান।”

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তারের পর ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা এবং বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার ও ১৪২ জনকে আটক করা হয়।

এরপর খালেদের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। শুধু মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

এবার জামিনে মুক্ত সম্রাটের সহযোগী খালেদ

Update Time : ১২:১৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জামিনে কারামুক্তি পেয়েছেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় খালেদকে জামিন দেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন। এতে খালেদের বিরুদ্ধে থাকা সাত মামলাতেই জামিন পাওয়ায় কারামুক্ত হন তিনি।

তবে অসুস্থ থাকায় কারাবন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদ। রাতে জামিনে মুক্তি পেলেও হাসপাতালেই থাকেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, “সবগুলো মামলাতে জামিন পেয়েছেন খালেদ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে তিনি মুক্তি পান।”

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তারের পর ফকিরাপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা এবং বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার ও ১৪২ জনকে আটক করা হয়।

এরপর খালেদের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। শুধু মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।