এক রাতেই পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:১২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৭৪ Time View

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে আবারও অসহনীয় হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ১ দিনের ব্যবধানে কমলনগরের খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৮০-১০৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার লাগছে ১৫০-২০০ টাকা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে কমলনগরের প্রাণকেন্দ্র হাজিরহাটের খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে উপজেলার পইকারি ব্যবসায়ীরা পাইকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রি করতে একবারেই নারাজ। তারা বলছেন, তাদের কাছে পাইকারি বিক্রি করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের স্টক নেই।

এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পেঁয়াজ নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পর কিছুসংখ্যক পাইকারি ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতে বিধিনিষেধ দিলেও দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুদ আছে। তাই অতিরিক্ত দাম বা সিন্ডিকেট মোটেও কাম্য নয়। পেঁয়াজের নির্ধারিত দামের বেশি যে ব্যবসায়ী বিক্রি করবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বৃহস্পতিবার থেকে রপ্তানি বন্ধ কার্যকর হয়েছে। আর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

এক রাতেই পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

Update Time : ০২:১২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দেশে আবারও অসহনীয় হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও ১ দিনের ব্যবধানে কমলনগরের খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৮০-১০৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার লাগছে ১৫০-২০০ টাকা।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে কমলনগরের প্রাণকেন্দ্র হাজিরহাটের খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

অন্যদিকে উপজেলার পইকারি ব্যবসায়ীরা পাইকারিভাবে পেঁয়াজ বিক্রি করতে একবারেই নারাজ। তারা বলছেন, তাদের কাছে পাইকারি বিক্রি করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজের স্টক নেই।

এর আগে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পেঁয়াজ নিয়ে এমন সিদ্ধান্তের পর কিছুসংখ্যক পাইকারি ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতে বিধিনিষেধ দিলেও দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুদ আছে। তাই অতিরিক্ত দাম বা সিন্ডিকেট মোটেও কাম্য নয়। পেঁয়াজের নির্ধারিত দামের বেশি যে ব্যবসায়ী বিক্রি করবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বৃহস্পতিবার থেকে রপ্তানি বন্ধ কার্যকর হয়েছে। আর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।