ঋণ বেড়েছে তথ্যমন্ত্রীর, সম্পদ কমেছে স্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৬৮ Time View

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত পাঁচ বছরে সরকারের সিনিয়র এ মন্ত্রীর বার্ষিক আয় বাড়েনি, বরং কমেছে। এ ছাড়াও সব ধরনের ঋণ বেড়েছে তথ্যমন্ত্রীর। আর গত পাঁচ বছরে তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার সম্পদ কমেছে। নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় ড. হাছান মাহ্‌মুদের কোনো ব্যাংক ঋণ ছিল না। এবারের হলফনামায় ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। হলফনামায় বিশ্লেষণে দেখা যায়, তথ্যমন্ত্রীর এবার সব ধরনের ঋণের পরিমাণ গতবারের চেয়ে বেড়েছে। গত নির্বাচনের হলফনামায় সর্বমোট ঋণ ছিল ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। এবার সেখানে তার সর্বমোট ঋণ ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা।

হলফনামায় দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে ড. হাছান মাহ্‌মুদের আয় ও ব্যয় দুটোই উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গতবারের হলফনামায় বাৎসরিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এবার সেখানে আয় ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত কৃষি জমি, বাড়ি ভাড়া, মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত বেতানভাতাদি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন-ভিজিটিং শিক্ষক হিসেবে প্রাপ্ত বেতন দেখিয়েছেন সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী।

অন্যদিকে তার স্ত্রীর নুরান ফাতেমার নামে হলফনামায় ঘোষিত স্থাবর সম্পত্তি ২০১৮ সালের তুলানায় ২০২৩ সালে কমেছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে রাঙ্গুনিয়ায় যে ৩ একর জায়গা ছিল সেটি এখন আর নেই। কিছু জমি এতিমখানার জন্য দান করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঋণ বেড়েছে তথ্যমন্ত্রীর, সম্পদ কমেছে স্ত্রীর

Update Time : ১০:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত পাঁচ বছরে সরকারের সিনিয়র এ মন্ত্রীর বার্ষিক আয় বাড়েনি, বরং কমেছে। এ ছাড়াও সব ধরনের ঋণ বেড়েছে তথ্যমন্ত্রীর। আর গত পাঁচ বছরে তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার সম্পদ কমেছে। নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় ড. হাছান মাহ্‌মুদের কোনো ব্যাংক ঋণ ছিল না। এবারের হলফনামায় ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। হলফনামায় বিশ্লেষণে দেখা যায়, তথ্যমন্ত্রীর এবার সব ধরনের ঋণের পরিমাণ গতবারের চেয়ে বেড়েছে। গত নির্বাচনের হলফনামায় সর্বমোট ঋণ ছিল ১ কোটি ২১ লাখ টাকা। এবার সেখানে তার সর্বমোট ঋণ ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা।

হলফনামায় দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে ড. হাছান মাহ্‌মুদের আয় ও ব্যয় দুটোই উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। গতবারের হলফনামায় বাৎসরিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এবার সেখানে আয় ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত কৃষি জমি, বাড়ি ভাড়া, মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্ত বেতানভাতাদি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন-ভিজিটিং শিক্ষক হিসেবে প্রাপ্ত বেতন দেখিয়েছেন সরকারের প্রভাবশালী এই মন্ত্রী।

অন্যদিকে তার স্ত্রীর নুরান ফাতেমার নামে হলফনামায় ঘোষিত স্থাবর সম্পত্তি ২০১৮ সালের তুলানায় ২০২৩ সালে কমেছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় স্ত্রীর নামে রাঙ্গুনিয়ায় যে ৩ একর জায়গা ছিল সেটি এখন আর নেই। কিছু জমি এতিমখানার জন্য দান করা হয়েছে।