ইসলামি সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় মূল্যবোধ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৪৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৮৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইসলামি সংস্কৃতি এবং আমাদের সভ্যতার মূল্যবোধ ও অধিকারের মধ্যে সামঞ্জস্যের সমস্যা রয়েছে।’

রোববার ইতালির রাজধানী রোমে মেলোনি তার ডানপন্থি দল দ্য ব্রাদার্স অব ইতালি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কও উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামী সংস্কৃতি ও আমাদের সভ্যতার মূল্যবোধ ও অধিকারের মধ্যে কোনো মিল নেই। আমি জানি, ইতালিতে যেসব ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র রয়েছে সেগুলো অর্থায়ন করে সৌদি আরব।’

তিনি এসময় সৌদি আরবের কঠোর শরিয়া আইনেরও সমালোচনা করেন, যার অধীনে ধর্মত্যাগ এবং সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ। শরিয়া আইন ইসলামিক আইন হিসেবে পরিচিত। এটা এসেছে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন এবং সুন্নাহ ও হাদীস থেকে।

মেলোনি বলেন, ‘শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যভিচারের জন্য পাথর নিক্ষেপ এবং ধর্মত্যাগ ও সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। ইউরোপের নানা প্রান্তে ইসলামের কিছু আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা মোটেই আমাদের সঙ্গে মানায় না। আমাদের মূল্যবোধ একেবারেই আলাদা।’

এদিকে, অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার বক্তব্যে অবৈধ অভিবাসীর ঢল থামাতে ইতালির নতুন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইসলামি সংস্কৃতি ও ইউরোপীয় মূল্যবোধ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৪:৪৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইসলামি সংস্কৃতি এবং আমাদের সভ্যতার মূল্যবোধ ও অধিকারের মধ্যে সামঞ্জস্যের সমস্যা রয়েছে।’

রোববার ইতালির রাজধানী রোমে মেলোনি তার ডানপন্থি দল দ্য ব্রাদার্স অব ইতালি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কও উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামী সংস্কৃতি ও আমাদের সভ্যতার মূল্যবোধ ও অধিকারের মধ্যে কোনো মিল নেই। আমি জানি, ইতালিতে যেসব ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র রয়েছে সেগুলো অর্থায়ন করে সৌদি আরব।’

তিনি এসময় সৌদি আরবের কঠোর শরিয়া আইনেরও সমালোচনা করেন, যার অধীনে ধর্মত্যাগ এবং সমকামিতা ফৌজদারি অপরাধ। শরিয়া আইন ইসলামিক আইন হিসেবে পরিচিত। এটা এসেছে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন এবং সুন্নাহ ও হাদীস থেকে।

মেলোনি বলেন, ‘শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যভিচারের জন্য পাথর নিক্ষেপ এবং ধর্মত্যাগ ও সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। ইউরোপের নানা প্রান্তে ইসলামের কিছু আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা মোটেই আমাদের সঙ্গে মানায় না। আমাদের মূল্যবোধ একেবারেই আলাদা।’

এদিকে, অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার বক্তব্যে অবৈধ অভিবাসীর ঢল থামাতে ইতালির নতুন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।