ইয়েমেনে হামলার পরপরই বাইডেনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৬ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এর পরপরই ইরান-সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রয়োজনে আরও হামলার নির্দেশ দিতে সংকোচ বোধ করবেন না।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে একের পর এক হামলার পর ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপে’ মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, আজ আমার নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যকে সাথে নিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এসব এলাকা হুথি বিদ্রোহীরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছিল।

এই হামলাকে হুথিদের ‘অভূতপূর্ব’ আক্রমণের ‘সরাসরি জবাব’ বলে অভিহিত করে বাইডেন বলেন, ‘এই ধরনের আক্রমণ মার্কিন সেনা, বেসামরিক নাবিক এবং আমাদের অংশীদারদের বিপন্ন করছে, বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা আমাদের সেনাদের ওপর আক্রমণ সহ্য করবে না বা সমুদ্রে নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগও শত্রুদের দেওয়া হবে না। আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহকে রক্ষা করার জন্য আমি আরও ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করব না।

এর আগে এএফপি বলছে, ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি শহরে বিমান হামলা হয়েছে বলে একটি হুথি সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। মূলত হুথিরা ইয়েমেনে বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় ফাইটার জেট এবং টমাহক মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। এএফপি যোগাযোগ করলে মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেননি।

উল্লেখ্য, দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হুথিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাল ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা।

এই হামলায় হুথিদের অস্ত্র ভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইয়েমেনে হামলার পরপরই বাইডেনের হুঁশিয়ারি

Update Time : ০৯:২১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এর পরপরই ইরান-সমর্থিত এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রয়োজনে আরও হামলার নির্দেশ দিতে সংকোচ বোধ করবেন না।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে একের পর এক হামলার পর ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপে’ মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, আজ আমার নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যকে সাথে নিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এসব এলাকা হুথি বিদ্রোহীরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য ব্যবহার করেছিল।

এই হামলাকে হুথিদের ‘অভূতপূর্ব’ আক্রমণের ‘সরাসরি জবাব’ বলে অভিহিত করে বাইডেন বলেন, ‘এই ধরনের আক্রমণ মার্কিন সেনা, বেসামরিক নাবিক এবং আমাদের অংশীদারদের বিপন্ন করছে, বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন এবং তার মিত্ররা আমাদের সেনাদের ওপর আক্রমণ সহ্য করবে না বা সমুদ্রে নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার সুযোগও শত্রুদের দেওয়া হবে না। আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহকে রক্ষা করার জন্য আমি আরও ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করব না।

এর আগে এএফপি বলছে, ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি শহরে বিমান হামলা হয়েছে বলে একটি হুথি সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। মূলত হুথিরা ইয়েমেনে বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

বেশ কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলায় ফাইটার জেট এবং টমাহক মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে। এএফপি যোগাযোগ করলে মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেননি।

উল্লেখ্য, দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হুথিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাল ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা।

এই হামলায় হুথিদের অস্ত্র ভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।