ইমরান খান নথি ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৭০ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে দায়ের করা সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়।

আদালিয়া কারাগারের বাইরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) শাহ খাওয়ার বলেন, ‘ইমরানকে আজ অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযোগ আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে।’

মামলার শুনানিকালে ইমরান খান নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত আগস্টে তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই সাজা বাতিল করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ এনে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলাটি একটি সরকারি একটি গোপন নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। ওই নথিকে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করে ইমরান খান দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এই দাবি অস্বীকার করেছে।

ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। ইমরান খানের আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের মক্কেলের সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইমরান খান নথি ফাঁসের মামলায় অভিযুক্ত

Update Time : ০২:৫৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে দায়ের করা সাইফার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়।

আদালিয়া কারাগারের বাইরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফআইএ) শাহ খাওয়ার বলেন, ‘ইমরানকে আজ অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযোগ আদালতে পড়ে শোনানো হয়েছে।’

মামলার শুনানিকালে ইমরান খান নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত আগস্টে তোষাখানা দুর্নীতির মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই সাজা বাতিল করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ এনে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলাটি একটি সরকারি একটি গোপন নথির সঙ্গে সম্পর্কিত। ওই নথিকে প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করে ইমরান খান দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এই দাবি অস্বীকার করেছে।

ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন। ইমরান খানের আইনজীবীরা বলছেন, এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের মক্কেলের সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।