ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৯ Time View

প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবাহ ছন্দার আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করে তার মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল যথা সময়ে দিতে ব্যর্থ হলে ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেলের ক্রয় বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে। চেকের অর্থ পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে।

পরবর্তীতে ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বার বার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও তারা তাকে টাকা দিতে কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান।

ফাহিমের অভিযোগ, তারা প্রতারণা করতে মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করার মানসিকতা নিয়ে এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ফাহিম আদালতে মামলা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Update Time : ০২:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহা দিবাহ ছন্দার আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটি পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালাম থানার বাসিন্দা মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করে তার মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর ক্রয়কৃত মোটরসাইকেল যথা সময়ে দিতে ব্যর্থ হলে ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করলে মোটরসাইকেলের ক্রয় বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেন। চেকটি নগদায়নের জন্য ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি থেকে ফোন দিয়ে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করে। চেকের অর্থ পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে।

পরবর্তীতে ওই চেক নগদায়ন করার জন্য ফাহিম ইভ্যালি, রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বার বার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও তারা তাকে টাকা দিতে কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান।

ফাহিমের অভিযোগ, তারা প্রতারণা করতে মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাৎ করার মানসিকতা নিয়ে এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ফাহিম আদালতে মামলা করেন।